‘আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে’, কার বিরুদ্ধে একথা বললেন জাস্টিস গাঙ্গুলি?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) নিয়ে ধুন্ধুমার দশা রাজ্যে। বিগত কিছুমাস ধরে বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে পাহাড়প্রমান নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার রায় দিয়ে চলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে কড়া মন্তব্য করলেন বিচারপতি (Justice Abhijit Ganguly)।

ঠিক কী বললেন তিনি? মঙ্গলবার ভরা এজলাসে বসেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে’। তবে যতই ‘অপপ্রচার’ চলুক, ভারতের আইনে আস্থা রেখে বিচারপতি তাই দাবি করেছেন, সময় লাগলেও বিচার হবেই। ”

বিচারপতির সংযোজন, “লড়াই শুধু দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ নেই, রক্তপিপাসু দালালরাও এখন ময়দানে। কিছু মানুষ দালালরাও এখন ময়দানে। কিছু মানুষ এখনও কুৎসা, অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট এবং বিচারপতিদের ওপর আমার বিশ্বাস, আস্থা এবং শ্রদ্ধা আছে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা নিয়ে আমি কোনও বক্তব্য পেশ করিনি। যে কথা আমি বলিনি সেগুলো আমার নামে প্রচার করা হচ্ছে। আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারতের আইন সভ্য আইন, কিছুটা সময় হয়তো লাগছে, কিন্তু বিচার হবে।”

justice ganguly

তবে এই প্রথম নয়। পূর্বেও নিয়োগ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, ‘দিদি একা সামলাতে পারছেন না। দিদির পাশে কিছু দুর্বৃত্ত ঘুরে বেড়াচ্ছে’। রাজ্যের বিরুদ্ধে বকেয়া সংক্রান্ত একটি মামলা শুনানিতে এই মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘এইভাবে গোটা রাজ্যটাই একদিন নষ্ট হয়ে যাবে। ভূপেন হাজারিকার একটা গান মনে পড়ে। হাজার টাকার বাগান খাইলো পাঁচ সিকার ছাগলে।’

অন্যদিকে, শিক্ষক কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষের ( Kuntal Ghosh ) বাড়ি থেকে প্রাইমারি টেটের ওএমআর শিট (OMR) এবং অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাওয়ার তথ্যে বিস্মিত হয়ে বিচারপতি বলেছিলেন, “কিছু দুষ্কৃতী কি রাজ্যটাকে ধ্বংস করে দেবে? কী হচ্ছে এটা? ‘ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘ কারা বসে রয়েছে পর্ষদে? কী করে দুর্নীতি হয়? কেউ নিজে কিছু করবে না । আবার, আদালত করলে তাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না।”


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর