বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। বর্তমান সময়ে বাংলায় দাঁড়িয়ে এই নামটা আরও অজানা নয়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে একের পর উল্লেখযোগ্য রায় দিয়েছেন তিনি। কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে তোয়াক্কা নয়। বেআইনি নির্মাণ হোক কিংবা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্স’ এর সম্পত্তির হিসাব, নিয়োগ দুর্নীতি হোক কিংবা কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ, সমস্ত ক্ষেত্রেই কড়া হাতে নির্দেশ দিয়ে নজির গড়েছেন বিচারপতি। সমাজের একাংশের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন আইকন। আর এবার সেই বিচারপতির নাম জুড়লো ম্যাট্রিমনি সাইটে জীবনসঙ্গী খোঁজার বিজ্ঞাপনে (Matrimonial site Ads)। ঘটনা সামনে আসতেই হৈহৈ।
ডিজিটাল যুগে কলকাতার বাসিন্দা একুশ বছরের তরুণী আইনজীবী, জীবনসঙ্গীকে খুঁজতে এক বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ম্যাট্রিমনি সাইটে। উল্লেখ করেছেন খুব সাধারণ তবে যে তার মূল্যবোধকে গুরুত্ব দেবে, তাকেই তিনি নিজের জীবনসঙ্গী হিসাবে পছন্দ করবেন। উচ্চতা, শরীরের গঠন, ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য যোগ করেছেন ওই তরুণী। সে সবই ঠিক আছে কিন্তু তরুণী আইনজীবী আলাদা করে তার সঙ্গে জুড়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নাম।
তরুণী আইনজীবী নিজের প্রোফাইলে নিজের পরিচয়ের সঙ্গে তার মূল্যবোধ ও আদর্শের কথা উল্লেখ করে লিখেছেন, যিনি তাকে পছন্দ করবেন, তাকে অবশ্যই তার মূল্যবোধকেও গুরুত্ব দিতে হবে। এরই সাথে উল্লেখ করেছেন তিনি হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে তিনি ট্রেনি হিসেবে কাজও করেছেন। বিয়ের বাজারে প্রোফাইলের ‘ওজন’ বাড়াতেই কি বিচারপতি অমৃতা সিনহার নাম? প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করতে হবে কাজ, প্রধানশিক্ষকদের কড়া নির্দেশ রাজ্যের
ইচ্ছা করেই কি তবে প্রোফাইলের আলাদা গুরুত্ব বোঝাতেই বিচারপতির সিনহার নাম ব্যবহার করা হয়েছে? সূত্রের খবর, ওই তরুণী আইনজীবী বেশ কিছুদিন ট্রেনি হিসেবে জাস্টিস সিনহার কাছে প্র্যাক্টিস করেন। তবে সেই ‘অজুহাতে’ জীবনসঙ্গী খোঁজার বিজ্ঞাপনে সেই নাম যোগ করা কি যুক্তিযুক্ত? এই নিয়েই চৰ্চা শুরু হয়েছে।