বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam)। চলবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অবধি। এর মাঝেই আগামী রবিবার বর্ধমানে সভা করতে চেয়েছিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ তথা আরএসএস (RSS)। এই নিয়ে পুলিশি অনুমতি না মেলায় জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার তার প্রেক্ষিতেই বড় নির্দেশ দিয়ে দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা বলে বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে মোহন ভাগবতের সভায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। বর্ধমান পুলিশের তরফ থেকে অনুষ্ঠানের অনুমতি না দেওয়ায় বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় আরএসএস। মামলা দায়ের করা হয় জাস্টিস সিনহার এজলাসে। এবার তার প্রেক্ষিতেই শর্তসাপেক্ষে মোহন ভাগবতের সভার অনুমতি দিয়ে দিল উচ্চ আদালত।
এদিন মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা (Justice Amrita Sinha) জিজ্ঞেস করেন, ‘রবিবার স্কুল ছুটি, তাহলে সমস্যা কোথায়?’ এরপরেই সভার অনুমতি দিয়ে দেয় আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশ, আগামী রবিবার বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান করতে পারবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। তবে পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনওভাবেই পড়াশোনার সমস্যা না হয় সেদিকে আয়োজকদের নজর রাখতে হবে। বিচারপতি বলেন, ‘আয়োজকদের শব্দ নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করতে হবে। যতটা সম্ভব কম শব্দ ব্যবহার করতে হবে’।
আরও পড়ুনঃ স্কুল শিক্ষকদের জন্য বড় খবর! উচ্চমাধ্যমিকের আগেই জারি করা হল নয়া নির্দেশিকা
বেশ কয়েকদিন হল রাজ্যে এসেছেন মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ১১ দিনের সফর তাঁর। আপাতত কয়েকদিন কলকাতাতেই রয়েছেন। আগামী রবিবার বর্ধমানের সাই কমপ্লেক্সে আরএসএসের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা আছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন তিনি।
এই বিষয়ে আবেদনকারীর দাবি, তাঁদের অনুষ্ঠান রবিবার। তবে অনুষ্ঠান মঞ্চের এলাকায় স্কুল থাকার জন্য অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মাধ্যমিকের জন্য সাউন্ড বক্স ব্যবহার করে অনুষ্ঠান করা যাবে না। এদিকে রবিবার ছুটির দিন। স্বাভাবিকভাবেই সেদিন পরীক্ষা নেই। এর পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালতে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করা হয়।
এবার সেই মামলাতেই রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, পরীক্ষার আগে এবং পরীক্ষার পরে বিদ্যালয়ের সামনে মাইক বাজানো যাবে না। পাল্টা আবেদনকারীদের তরফ থেকে বলা হয়, তাঁরা পরীক্ষার্থীদের কোনও সমস্যা করবেন না। এছাড়া সভা রবিবার রয়েছে। সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর শর্তসাপেক্ষে সভার অনুমতি দেন বিচারপতি সিনহা।