বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে বিচারব্যবস্থায় বহুল চর্চিত নাম বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। তার একের পর এক কড়া কড়া নির্দেশে যেমন ঘুম উড়েছে দুর্নীতিবাজদের তেমনই সমস্যায় পড়েছেন বেশ কিছু প্রভাবশালীও। সম্প্রতি এক মামলায় জাস্টিস সিনহার মুখেই শোনা যায়, ‘রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য বিশ্বাস করার দরকার নেই।’ বিচারপতির এহেম মন্তব্যের পরই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল রাজ্য-রাজনীতিতে।
‘রাজনৈতিক নেতাদের কথায় বিভ্রান্তি বাড়ে’
আসলে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। প্রথমে এই নিয়ে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। তবে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। বলা হয় ওই চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই ধর্নার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
এরপরই হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। সেখানে মেলে অনুমতিও। প্রসঙ্গত, কিছু মাস আগে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেই এই প্রসঙ্গের উল্লেখ করে আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবীর বলেন, ‘প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে পুলিশ আমাদের আবেদন বাতিল করে দিয়েছে। যদি ১৪৪ জন্য তা করা হয় তাহলে গত বছর তৃণমূলকে কেন অনুমতি দিয়েছিল পুলিশ?’
ওদিকে এই ঘটনা চলাকালীনই নবান্নে এক বৈঠকের সময়, রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “অভিষেকরা যখন রাজভবনের সামনে ধর্না দিয়েছিল, তখন সেখানে ১৪৪ ধারা ছিল না।” এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই আদালতে শুভেন্দুর আইনজীবীর প্রশ্ন ছিল, ‘পুলিশমন্ত্রী কীভাবে এই মন্তব্য করতে পারেন?’
আরও পড়ুন: হয়ে গেল বিরাট ঘোষণা, DA নিয়ে মন খারাপের মাঝেই ১৩ ভাতা বাড়ছে সরকারি কর্মীদের
এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতেই পাল্টা বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) বলেন, “রাজনৈতিক নেতাদের বিশ্বাস করার দরকার নেই।” এখানেই থেমে যান নি বিচারপতি। তিনি আরও বলেন, “আদালতে এজি যেটা বলেছেন সেটাই বিশ্বাস করুন। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তব্য বিশ্বাস করার দরকার নেই। তাতে বিভ্রান্তি বাড়ে। রাজনৈতিক মামলার জেরে বাকি মামলারও ক্ষতি হয়।”