বাংলাহান্ট ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের সরগরম বাংলা। মাদ্রাসা নিয়োগে বেনিয়ম নিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এসএসসি, নবম-দশম এবং প্রাথমিকের পর এবার মাদ্রাসাতেও বেআইনি নিয়োগের অভিযোগ উঠে এল। এই অপরাধে মঙ্গলবার মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই টাকা ৭ জন মামলাকারীকে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালের মাদ্রাসা শিক্ষক নিয়োগ আইনে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রার্থীদের অগ্রাধিকার থাকলেও বাস্তবে তা হয়নি। ২০১৩-২০১৪ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়াতেও উঠছে বঞ্চিনার অভিযোগ। ২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জারি হয় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। বলা হয় লিখিত পরীক্ষায় পাশ করলে অগ্রাধিকার পাবেন প্রশিক্ষণ প্রাপ্তরাই। কিন্তু তা করা হয়নি।
আদালত জানিয়েছে, আইনি পদ্ধতিতে নিয়োগ না করে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন বেআইনি কাজ করেছে। কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয় ১৫ দিনের মধ্যে অগ্রাধিকার দিয়ে নাম সুপারিশ করতে হবে। শুধু এইবার নয় শূন্যপদে অগ্রাধিকার দিতে হবে ভবিষ্যতেও। শুধু তাই নয়, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি মাদ্রাসা বোর্ডকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, ‘নতুন করে অনিয়ম খুঁজে পেলে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনটাই তুলে দেব।’
প্রসঙ্গত, সোমবারই প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি গেছে ২৬৯ জনের। ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। মোট ২৬৯ জন এমন শিক্ষকের নাম আসে। সকলেরই অবিলম্বে বেতন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা যাতে কোনওভাবেই স্কুলের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে, ডিআইকে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আদালত বলেছে, ওই শিক্ষকরা এতদিন যা বেতন পেয়ে এসেছেন, সব ফিরিয়ে দিতে হবে।