বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষাক্ষেত্রে র্যাগিংয়ের অভিযোগ আজকের নয়। নানান সময়ে পশ্চিমবঙ্গের বহু কলেজে র্যাগিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। আরজি কর কাণ্ডের পর আবার সেই সকল অভিযোগের সঙ্গেই শিরোনামে উঠে এসেছে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ বা ‘থ্রেট কালচার’ বিষয়টি। এবার এই নিয়েই বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। মামলা হতেই বাংলার এক মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া বার্তা দিল আদালত।
এটা তো র্যাগিং! বললেন হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি
গত আগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার পর প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে ‘থ্রেট কালচারে’র (Threat Culture) নানান অভিযোগ। রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজের অন্দরে ‘হুমকি সংস্কৃতি’ চলছে বলে অভিযোগ করা হয়। এই আবহে গত সেপ্টেম্বর মাসে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ৭ জন ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়। শুক্রবার উচ্চ আদালতে ওই মামলার শুনানি ছিল।
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ সাসপেন্ড করে দেওয়ার পর আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ৭ জন চিকিৎসক। গতকাল হাইকোর্টে ওই মামলার শুনানিতেই ‘থ্রেট কালচার’ বিষয়টি যেন আরও প্রকট হয়ে ওঠে। ‘হুমকি সংস্কৃতি’র সেই কাহিনী শোনার পর বড় মন্তব্য করেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত (Justice Jay Sengupta)।
আরও পড়ুনঃ স্টপেজে ১ মিনিটের বেশি দাঁড়ালেই…! বাস নিয়ে কড়াকড়ি! নয়া নির্দেশিকা রাজ্যের
জাস্টিস সেনগুপ্ত এদিন বলেন, কড়া রোদের মধ্যে পার্টির অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ছাত্রছাত্রীদের বাধ্য করা হতো। এই রকম মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে। এটা তো নিশ্চিতভাবেই র্যাগিংয়ের ঘটনা। এর পাশাপাশি আরও বেশ কিছু মারাত্মক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান বিচারপতি।
এই নিয়ে এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতের তরফ থেকে স্পষ্ট বলা হয়, কলেজ কর্তৃপক্ষ যদি ইউজিসির গাইডলাইন মেনে কাজ না করে, তাহলে আদালত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আগামী ১১ ডিসেম্বর ফের ‘থ্রেট কালচার’ সংক্রান্ত এই মামলার শুনানি রয়েছে হাইকোর্টে।