বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) উদ্বোধন। ইতিমধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা সম্পন্ন হয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই দ্বারোদ্ঘাটন হবে। এদিনই আবার কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে সম্মেলন করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এবার এই নিয়ে করা রাজ্যের মামলাতেই বড় মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি সৌমেন সেন। প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মন্তব্য করা হলে মামলা ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন তিনি।
কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) যা হল…
এদিন দিঘার জগন্নাথ ধাম থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে কাঁথিতে ‘সনাতনী হিন্দু সম্মেলনে’র আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবারই এই কর্মসূচি করার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে ‘সময় মতো’ সেই মামলার শুনানি না হওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে এজি, রাজ্যের আইনজীবী।
এদিন অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত, আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বেলা ১১:৩০ নাগাদ শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও এই মামলা ডাকা হয়নি। কোর্ট অফিসারেরা বিষয়টিকে এড়িয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। কল্যাণের অভিযোগ, রাজ্যের (Government of West Bengal) আর্জিতে গুরুত্ব দেয়নি কোর্ট অফিসার।
আরও পড়ুনঃ বেলা গড়াতেই ঝমঝমিয়ে শুরু! আজ দক্ষিণবঙ্গের ৮ জেলায় ভারী বৃষ্টি! কোথায় কোথায় তাণ্ডব?
শুনানির বিষয়ে বিচারপতি অনুমতি দিলেও কেন এই মামলা ডাকা হল না? কোর্ট অফিসার কি তাহলে রাজ্যের আবেদনে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না? রাজ্য একটি ব্যক্তিগত মামলাকে চ্যালেঞ্জ করেছে। তাহলে কি কোর্ট অফিসারের কাছে রাজ্যের থেকেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগত মামলার গুরুত্ব বেশি?
অ্যাডভোকেট জেনারেল এদিন বলেন, গতকাল বিকেল থেকে এই মামলার শুনানি যাতে হয় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। কল্যাণ বলেন, ‘প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানানো হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি এখানে পাঠান’।
একথা শোনার পরেই জাস্টিস সেন (Justice Soumen Sen) বলেন, ‘প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে দয়া করে কথা বলবেন না। মামলা ছেড়ে দেব’। এরপর যদিও তাঁর আশ্বাস, সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। দুপুর ১টায় শুনানি হবে।
উল্লেখ্য, জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের দিন কাঁথিতে সনাতনী হিন্দুদের নিয়ে সভা আয়োজনের জন্য অনুমতি দেয়নি পুলিশ। এরপর জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। গতকাল এই কর্মসূচির অনুমতি দেয় উচ্চ আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চ। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। এদিন সেই মামলার শুনানিতেই এহেন মন্তব্য করেন বিচারপতি সেন।