বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা মেট্রো মানেই শহরবাসীর ‘লাইফ লাইন’। বিশেষ করে কলকাতার রাজপথের জ্যাম এড়িয়ে, এবং একইসাথে সময় বাঁচিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য রোজকার অফিস যাত্রীদের জন্য এই মেট্রো পরিষেবার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু সমস্যা হল রাতের দিকে মেট্রো পাওয়াই দুষ্কর। ঘড়ির কাঁটা রাত ৯টা ৪০-এর ঘরে যেতে না যেতেই বাড়তে থাকে সমস্যা।
রাতের কলকাতায় মেট্রো পরিষেবা নিয়ে কি বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
অন্যদিকে কলকাতার রাজপথে তখনও সারি দিয়ে দাঁড়ানো থাকে গাড়ি। রাস্তার যানজটের পাশ কাটিয়ে মেট্রোতে চাপার একমাত্র উপায়ও তখন একপ্রকার ‘বন্ধ’! তাই বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছে কলকাতা মেট্রোর সংখ্যা বৃদ্ধি করা হোক। ইতিমধ্যেই দক্ষিণেশ্বর থেকে কবি সুভাষ পর্যন্ত রাত ৯টা ৪০ মিনিটের পর পাঁচ মিনিট অন্তর আরও চারটি মেট্রো বাড়ানোর দাবিতে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। কিন্তু, এই মামলায় কী মত কলকাতা হাইকোর্টের?
জানা যাচ্ছে, রাতের দিকে অতিরিক্ত চারটি মেট্রো বাড়ানোর দাবিতে যে জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছিল তাতে আপাতত কোনো হস্তক্ষেপ করতে চাইছে না আদালত। তবে জানা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মেট্টো কর্তৃপক্ষকে বিষয়টির বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম (Justice T. S. Sivagnanam)।
আরও পড়ুন: দিল্লিতে CBI প্রধানের সাথে দেখা,মোদী এবং রাষ্ট্রপতিকে ইমেল, কি জবাব পেলেন নির্যাতিতার বাবা?
আবেদনকারীর দাবি, রাত ৯টা ৪০ মিনিটের পর প্রায় এক ঘণ্টা পর পর দু’টি মেট্রো চালানো হচ্ছে। এরফলে চরম ভোগান্তির শিকার হন নিত্যযাত্রীরা। মেট্রো না পেয়ে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে অধিকাংশ যাত্রীদের। তাই সকলের সুবিধার কথা ভেবেই ওই সময়ে মেট্রোর সংখ্যা বাড়িয়ে চারটি করার দাবি করা হয়েছিল।
প্রশ্ন হল যাত্রীদের এই দাবি মেনে নেওয়া কি সম্ভব? এপ্রসঙ্গে কেন্দ্রের আইনজীবী অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অশোক চক্রবর্তীর যুক্তি, সিগন্যালিংয়ে কর্মরত কর্মীদের শিফটিং এবং আরও অন্যান্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের শিফটিংয়ের সমস্যার জন্য এই অতিরিক্ত মেট্রো চালানো সম্ভব হবে না।
আদালতে (Calcutta High Court) এদিন সমস্ত সওয়াল-জবাব শোনার পর প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, পুরো বিষয়ে মেট্রোই শেষ সিদ্ধান্ত নেবে। তবে মেট্রোকে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা দেখার পাশাপাশি যাত্রীদের কথাও বিবেচনা করে দেখতে বলছেন তিনি। তবে এখন দেখার এই আবহে কলকাতা মেট্রোর তরফে নতুন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় কিনা।