বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar) কাণ্ডের পর মাঝে কেটে গিয়েছে আট মাস। এখনও পর্যন্ত সুরাহা হয়নি এই মামলার। যদিও ইতিমধ্যেই তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সিভিক ভলেন্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দিয়ে দিয়েছে নিন্ম আদালত। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই তিলোত্তমার বাবা-মায়ের দাবি ছিল এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত আছে,কিন্তু তাদের আড়াল করা হচ্ছে। সুপ্রিম অনুমতির পর ইতিমধ্যেই আরজি কর মামলার শুনানি শুরু হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলার দ্বিতীয় দিনেই এবার সিবিআইয়ের দেওয়া রিপোর্ট দেখে বিরাট ইঙ্গিত দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
RG Kar কাণ্ডে বিচারপতির দাবি ঘিরে বিরাট শোরগোল
হাইকোর্টে আজ দ্বিতীয় শুনানির দিন সিবিআই রিপোর্ট দিয়ে আদালতে জানিয়েছে এটা ধর্ষণকাণ্ড। আর এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একজনেরই নাম উঠে এসেছে। যার ফলে এদিন সিবিআই-এর তরফে আরও একবার দাবি করা হল আরজি করে (RG Kar) গণধর্ষণ ঘটেনি। তবে তিলোত্তমার দেহ উদ্ধারের পর ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট অর্থাৎ সুরতহাল রিপোর্টে যে আঘাতের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল তার সঙ্গে ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখিত আঘাতের কিছুটা ফারাক রয়েছে বলেই দাবি করলেন জাস্টিস ঘোষ।
আদালতে শুনানি চলাকালীন সিবিআই-এর তরফে আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার আদালতে জানিয়েছেন, ১৪ জন চিকিৎসকদের নিয়ে তৈরী একটি টিম সব ডিএনএ পরীক্ষার করার পর জানিয়েছেন এই কাজে নাকি একজনই যুক্ত। এছাড়া যে সমস্ত সব নার্স-চিকিৎসক, ওই হাসপাতালের (RG Kar)সঙ্গে যুক্ত, তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে এদিন বিচারপতিকে জানিয়েছে সিবিআই।
সিবিআই-এর আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর জাস্টিস ঘোষ এদিন প্রশ্ন করেন, কলকাতা পুলিশের কাছে যে কেস ডায়েরি ছিল,তাদের কাছে কি সেটা আছে? একইসাথে তিনি প্রশ্ন তোলেন এটা ধর্ষণই হয়, তাহলে তদন্ত ঠিক কোন পর্যায়ে রয়েছে? তদন্ত আটকে রয়েছে কেন? সিবিআই-এর ঠিক কি অসুবিধা হচ্ছে? সেটাও জানতে চাওয়া হয় এদিন।
আরও পড়ুন: ‘এই মৃত্যুর ঘটনা ওনাকে তাড়া করবে’! অক্সফোর্ডে প্রশ্নের মুখে মমতা! মুখ খুললেন তিলোত্তমার মা-বাবা
আরজি কর (RG Kar) মামলায় তদন্তের ফাঁকফোকর নিয়েও এদিন প্রশ্ন ওঠে আদালতে। সিবিআইয়ের তরফে স্পষ্ট জানানো হয় এখন তাঁরা দেখছেন প্রমাণ লোপাটের ক্ষেত্রে কোনো বড় ষড়যন্ত্র আছে কিনা! এছাড়া সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, বিভিন্ন অফিসার-সহ আরও অনেকের এক্ষেত্রে কী ভূমিকা রয়েছে, সেটা দেখা হচ্ছে। কিন্তু সেই তালিকায় কারা আছে জানতে চাওয়া হলে সিবিআই-এর আইনজীবী ইতঃস্তত বোধ করে জানান বন্ধ খামেই তিনি সেটা পেশ করবেন।
জাস্টিস ঘোষ, এদিন আরজি কর তদন্তের ফাঁকফোকর প্রসঙ্গে সিবিআই-এর আইনজীবীকে মনে করিয়ে দেন, ইনকোয়েস্ট রিপোর্টে যে আঘাতের কথা উল্লেখ রয়েছে, অর্থাৎ পেটের আঘাত ও রিং ফিঙ্গারের আঘাত,সেটা কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নেই। এই সূত্র ধরেই বিচারপতি এদিন ইনকোয়েস্ট রিপোর্ট ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট চেয়ে পাঠান।