বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর আক্রমণের আঁচ এপার বাংলাতেও এসে পড়েছে। রাজ্যের নানান প্রান্তে প্রতিবাদ মিছিল, সভার আয়োজন করা হচ্ছে। এবার এই প্রেক্ষিতেই বড় পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে বিক্ষোভ-ধরনার অনুমতি প্রদানের সময় বড় মন্তব্য করেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বাংলাদেশ ইস্যুর প্রেক্ষিতে কী পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)?
জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) এদিন স্পষ্ট বলেন, সভার অনুমতি দেওয়া হলেও, কোনও ভাবে যেন সরকারি সম্পত্তি নষ্ট, ভাঙচুর অথবা সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনা না ঘটে। যদি এই ধরণের ঘটনা ঘটে, তাহলে আগামীদিনে আদালত এই ধরণের বিক্ষোভ-ধরনা নিয়ন্ত্রণ করবে।
হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে এই ধরণের বিক্ষোভ সভা থেকে সরকারি সম্পত্তি (Government Property) নষ্ট, ভাঙচুর কিংবা সরকারি কর্মীদের (Government Employees) ওপর হামলার মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে সেসব কিছুতেই হতে দেওয়া যায় না। এমন ধরণের ঘটনা ঘটলে ভবিষ্যতে আদালত এই প্রকার বিক্ষোভ-ধরনা নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানান বিচারপতি ঘোষ।
আরও পড়ুনঃ মাটিতে বসে পড়াশোনা নয়! ছাত্রছাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের বিচারপতির
বাংলাদেশ ইস্যুর প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর এবং সরকারি কর্মীদের গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা যাতে না ঘটে সেটা রুখতে আদালত যে বদ্ধপরিকর, তা বিচারপতি ঘোষের নির্দেশেই একপ্রকার পরিষ্কার।
এদিকে বাংলাদেশে (Bangladesh) সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর লাগাতার নির্যাতনের প্রতিবাদে আগামী ৫ ডিসেম্বর কলকাতার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ধরনা অবস্থান করার অনুমতি চেয়েছিল ‘খোলা হাওয়া’ নামের একটি সংগঠন। জানা যাচ্ছে, প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের সভাপতিত্বে ওই সংগঠনের প্রায় ২৫০০ সমর্থক নিয়ে সভা করার কথা।
রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়, সেনা বাহিনীর অনুমতি পাওয়া গেলে ওইদিন পুলিশের তরফ থেকে কোনও আপত্তি নেই। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকেও এদিন সভার অনুমতি প্রদান করা হয়। তবে নিজের পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট করে দেন বিচারপতি ঘোষ।