বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আসামিকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ। বিষ্ণুপুর থানা নাকি বারুইপুর জেল কর্তৃপক্ষ, এই ঘটনায় কারা জড়িত? এবার সেটাই জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মামলা হতেই কড়া নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
রিপোর্ট দেখার পর ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
জানা যাচ্ছে, বেআইনি মদ বিক্রি করার অভিযোগে ২০২৩ সালের ২৮ আগস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন গফুর মোল্লা (৩২) নামের এক যুবক। রাজ্য আবগারি দফতরের হাতে গ্রেফতার হন তিনি। ধৃত গফুরকে বিষ্ণুপুর থানায় (Bishnupur Police Station) নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
সেখানে অসুস্থ হওয়ার কারণে ১ সেপ্টেম্বর গফুরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। গফুরের পরিবারের দাবি, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। এবার এই মামলাতেই কড়া নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ ব্যর্থ! ‘পুলিশ কিছু করতে পারল না?’ ফের একটি মামলার তদন্তভার গোয়েন্দাদের দিল হাইকোর্ট
গফুরকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর ছেলে। সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সহ যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখার পর পুলিশকে মৃতদেহ সম্পর্কে নিজেদের বক্তব্য জানাতে বলেন। রিপোর্ট দেখার পর আদালত আরও ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে যায় বলে খবর।
বিচারপতির বক্তব্য, পুলিশের রিপোর্ট জানানো হয়েছে গফুরের দেহে ক্ষত ছিল। রাজ্যের তরফ থেকে দেওয়া রিপোর্টও জানাচ্ছে, তাঁর দেহে মারধরের ক্ষত রয়েছে। তাহলে কে এই ঘটনা ঘটালো সেটা কেন ধরা যাচ্ছে না, এটা বিস্ময়কর!
মারধরের ঘটনায় আসামির মৃত্যুর অভিযোগের এই মামলায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, এই কাণ্ড যে ঘটিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। সেই সঙ্গেই এই ঘটনায় ১ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।