৭ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে…! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল ‘ক্ষুব্ধ’ কলকাতা হাইকোর্ট

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে পড়েছে পুলিশের ভূমিকা। এবার যেমন নিউটাউন থানার আইসির পদোন্নতি এবং পোস্টিং নিয়ে প্রশ্ন তুলল আদালত। কার আশীর্বাদে এই প্রোমোশন এবং পোস্টিং পেয়েছেন তিনি? প্রশ্ন করেন ক্ষুব্ধ বিচারপতি। একইসঙ্গে কড়া নির্দেশ দেন জাস্টিস তীর্থঙ্কর ঘোষ।

  • বিরাট হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির!

আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিউটাউন থানা (New Town Police Station) অঞ্চলে পুলিশি মদতে একজন প্রোমোটারের বিরুদ্ধে জমি দখল করার অভিযোগ ওঠে। সেই জল গড়ায় আদালত অবধি। বৃহস্পতিবার জাস্টিস ঘোষের এজলাসে সেই মামলার শুনানি ছিল। ওই শুনানি চলাকালীনই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বিচারপতি।

রিপোর্ট বলছে, জাস্টিস ঘোষ এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে হাইকোর্টের সরাসরি সম্প্রচার তথা লাইভ স্ট্রিমিং বন্ধ করে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, কার আশীর্বাদে এই নিউটাউন থানার আইসি বিধাননগর কমিশনারেট অঞ্চলে পদোন্নতি ও পোস্টিং পেয়েছেন? একইসঙ্গে কড়া নির্দেশ দেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ ‘ফেসবুক ব্যবহারই উচিত নয়’! এবার সন্ন্যাসীর মতো জীবনযাপনের নিদান সুপ্রিম কোর্টের

ক্ষুব্ধ বিচারপতি বলেন, আগামী ৭ দিনের মধ্যে যদি ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আদালত নিজে এবার ব্যবস্থা নেবে। এই কড়া হুঁশিয়ারির পর জাস্টিস ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) নির্দেশ দেন, আগামী ১০ জানুয়ারির মধ্যে ওই অভিযুক্ত আইসিকে দায়িত্ব থেকে সরাতে হবে। আচমকা কেন ওই আইসির বিরুদ্ধে এতখানি ক্ষুব্ধ হলেন বিচারপতি? সেকথাও জানা গিয়েছে।

Calcutta High Court

একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে আদালত সূত্র উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, এর আগেও ওই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। বাগুইআটিতে জোড়া হত্যা মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ ওঠে। তা সত্ত্বেও কীভাবে অভিযুক্ত ওই আইসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকে বিধাননগর কমিশনারেটে প্রোমোশন দেওয়া হল, সেকথা জানতে চায় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কার আশীর্বাদে ওই আইসি পোস্টিং এবং প্রোমোশন পেলেন? এদিন রাজ্য সরকারের আইনজীবীর কাছে জানতে চান বিচারপতি ঘোষ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর