ব্যাহত হাই কোর্টের কাজ! নয়া ৩ ফৌজদারি আইনের প্রতিবাদে শুনানি বয়কট তৃণমূলপন্থী আইনজীবীদের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুলাই মসসের প্রথম দিনই কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) ব্যাহত শুনানির কাজ। রাজ্যের নানান প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছিলেন মামলাকারীরা। তবে শুনানির কাজ ব্যাহত হওয়ায় খালি হাতেই ফিরে যেতে হয় তাঁদের। জানা যাচ্ছে, নয়া তিন ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ এদিন আদালতে শুনানি বয়কট করেন হাই কোর্টের তৃণমূলপন্থী (Trinamool Congress) আইনজীবীরা। বেশিরভাগ মামলায় রাজ্য সরকারের আইনজীবীরাও দাঁড়াননি।

সোমবার থেকে গোটা দেশে নতুন তিনটি ফৌজদারি আইন চালু হয়েছে। ১৮৬০ সালেতইরি ‘ইন্ডিয়ান পেনাল কোড’-এর বদলে ‘ভারতীয় ন্যায় সংহিতা’ (Bharatiya Nyaya Sanhita), ১৮৭২ সালের ‘ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট’এর বদলে ‘ভারতীয় সাক্ষ্য অধিনিয়ম’ এবং ১৮৯৮ সালের ‘ক্রিমিনাল প্রসিডিওর অ্যাক্ট’এর বদলে ‘ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা’ চালু করা হয়েছে। এদিনে নতুন এই তিন আইনে কী কী অপরাধ এবং এর শাস্তি কী রয়েছে তা নিয়ে অনেকের মনেই ধন্দ রয়েছে। বিরোধী দলগুলির তরফ থেকে এই নিয়ে আপত্তি তোলা হয়েছে। এবার এর প্রতিবাদ স্বরূপ হাই কোর্টের শুনানি বয়কট করলেন তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরা।

পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল TMC-র তরফ থেকে এই তিন আইনকে ‘অসাংবিধানিক’ এবং ‘নির্মম’ বলা হয়েছে। এদিন হাই কোর্টের তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাও এই কারণে মামলার শুনানি বয়কট করলেন। জানা যাচ্ছে, এদিন হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে বেশ কয়েকটি মামলার শুনানির জন্য ডাকার পরেও আইনজীবীদের একটি অংশ এজলাসে উপস্থিত হননি। বিচারপতি অমৃতা সিনহা, বিচারপরি রাজা বসুচৌধুরী, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সহ একাধিক বিচারপতি এজলাসে দেখা গিয়েছে এই চিত্র। এমনকি শুনানি না হওয়ার কারণে বহু বিচারপতি ফিরে যান বলে খবর।

আরও পড়ুনঃ সিপিএমের পতাকা হাতে উঠে পড়লেন তৃণমূলের মঞ্চে! তারপর? পূর্ব বর্ধমানের ঘটনায় শোরগোল!

এই প্রসঙ্গে TMC-র আইনজীবী বিশ্বব্রত বসুমল্লিক বলেন, আইনজীবীরা যদি নতুন তিন আইন মেনে নেন তাহলে বিচারব্যবস্থায় একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হবে। ওই আইনে আইনজীবীদেরমতামত প্রতিফলিত হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। বিশ্বব্রত বলেন, ওই আইন একতরফাভাবে তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই আইন সংশোধন করা উচিত।

Calcutta High Court

শুধু তৃণমূলপন্থী আইনজীবীরাই নন, বামপন্থী আইনজীবীরাও ওই তিন আইন সমর্থন করছেন না। যদিও তাঁরা শুনানি ব্যাহত হোক এটা চান না। এই বিষয়ে আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, ‘এই আইনকে আমরাও সাপোর্ট করি না। তবে এভাবে আদালত বয়কট করার বিরোধিতা করছি। একদিন আদালত বয়কট করে মোদী সরকারের এই আইনগুলিকে আটকানো যাবে না। যথাযথ জায়গায় প্রতিবাদ জানাতে হবে’।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর