বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্ত্রীর দায়ের করা বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় (Divorce Case) মানসিক অবসাদের জেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বেঙ্গালুরুর যুবক অতুল সুভাষ। এই ঘটনার পর থেকেই প্রয়াত অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া এখন সকলের কাছেই বেশ পরিচিত নাম। বিগত কয়েকদিন ধরেই এই ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।
ডিভোর্সের মামলায় বিরাট পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে অতুলের স্ত্রীর নিকিতাকে। তবে অতুলের এই আত্মহত্যার ঘটনা আরও একবার প্রশ্ন তুলে দিয়েছে আমাদের দেশের বিচার ব্যবস্থার নিয়ে। যেখানে বারবার বলা হচ্ছে এদেশের বিচার ব্যবস্থা নাকি বড়ই একপেশে! সোশ্যাল মিডিয়া থেকে পাড়ার চায়ের ঠেক সর্বত্রই বলা হচ্ছে আইন নাকি তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র মেয়েদের কথা ভেবেই। আর এই কারণেই নাকি আজকের দিনে মেয়েদের হাতেই রয়েছে যত ক্ষমতা।
তবে এবার একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় নজিরবিহীন পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি একটি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলায় রায় দিতে গিয়ে স্বামীর অত্যাচারের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) এই মামলায় জানা যায়, প্রায় দু’দশক আগে ২০০৫ সালে নবদ্বীপ এলাকার এক দম্পতি বিয়ের তিন বছর পরেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছিলেন। অভিযোগে জানানো হয় বিয়ের এক বছর পর কোলাঘাট চলে গিয়েছিলেন ওই দম্পতি। যদিও পরে চাকরি সূত্রে উত্তর পাড়ার বাপের বাড়িতে চলে আসেন স্ত্রী। কিন্তু স্বামীর অভিযোগ তারপর তার স্ত্রী আর কখনও একা ফিরতে চায়নি। স্বামীর আরও অভিযোগ তার স্ত্রী চাইলে নাকি কোলাঘাট থেকেই শিয়ালদার অফিসে যেতে পারতেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে পাশ করা বাধ্যতামূলক! আবার ফিরছে পুরনো প্রথা
কারণ উত্তরপাড়া থেকে শিয়ালদা দূরত্ব-ও খুব একটা কম নয়। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তিনি উত্তরপাড়া থেকে যাতায়াত শুরু করলেন। আর এরপর যখনই তিনি কোলাঘাট যেতেন তখনই নাকি তিনি নিজের সঙ্গে বাপের বাড়ির কোনো না কোনো সদস্যকে নিয়ে যেতেন। অন্যদিকে স্ত্রীর অভিযোগ ছিল তার মায়ের পেনশন এবং নিজের বেতনের ভাগ নেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ সৃষ্টি করতেন তার স্বামী।
তাই তিনি সেখানে কখনও একা যেতেন না। নিম্ন আদালত স্বামীর বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা খারিজ করে দিলেও হাইকোর্ট (Calcutta High Court) স্বামীর আবেদন গ্রহণ করে। এই মামলায় হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর পরিবার পাকাপাকি ভাবে যদি থাকতে শুরু করেন আর সেটা যদি স্বামী অত্যাচার বলে মনে করেন তাহলে তা ফেলে দেওয়া যায় না। এই দিন এই মামলায় নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে দিয়ে স্বামীর আবেদনকেই মান্যতা দিয়েছে হাইকোর্ট।