‘আমি বিস্মিত’, পুলিশকে চরম ভর্ৎসনা! শাহজাহানকে ধরতে এবার বিরাট ‘ভাবনা’ প্রধান বিচারপতির

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে দেড় মাসেরও বেশি সময়। তবে এখনও অধরা তৃণমূলের শেখ শাহজাহান। ৪৬ দিন ধরে পুলিশের খাতায় ফেরার সন্দেশখালির মূল অভিযুক্ত। এই পরিস্থিতিতে এবার শাহজাহানকে (Shahjahan Sheikh) সরাসরি হাই কোর্টে তলবের ভাবনা প্রধান বিচারপতির। যার জন্য এই সব ঘটছে তাকে কোনও ভাবেই রাজ্য সমর্থন করতে পারে না। – মন্তব্য প্রধান বিচারপতির (Chief Justice of Calcutta High Court)।

গত জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ রেশন দুর্নীতির তদন্তে নেমে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। তবে তল্লাশি তো দূর, উল্টে শাহজাহানের অনুগামীদের হাতে মার খেয়ে এলাকাছাড়া হয় ইডি। সেই ঘটনার পর ৪৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও অধরা সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। এদিকে চলতি মাসের শুরুতে শাহজাহানের সঙ্গী উত্তর সর্দার, শিবু হাজরাদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সন্দেশখালির মহিলারা। দফায় দফায় উত্তপ্ত হয় ওঠে এলাকা।

   

ইতিমধ্যেই ধর্ষণ, খুন সহ একাধিক অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা উত্তম ও শিবু। তবে এখনও পর্যন্ত শাহজাহানের টিকির নাগাল পায়নি পুলিশ। মঙ্গলবার এই নিয়ে পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা প্রধান বিচারপতির। পাশাপাশি এবার তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতাকে আদালতে তলবের ভাবনা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের।বিচারপতির নির্দেশ, ওইদিন আদালতে হাজিরা দিতে হবে রাজ্য পুলিশ, ইডি এবং সিবিআইকে।

ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, “যাকে কেন্দ্র করে এত ঘটনা তাকে কোনও ভাবেই রাজ্য সমর্থন করতে পারে না। উনি নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, মানুষের প্রতি তিনি কোনও কর্তব্য পালন করেছেন বলে মনে হয় না।” পুলিশকে ভর্ৎসনা বিচারপতি এও বলেন, যদি পুলিশ শাহজাহানকে ধরতে না পারে তাহলে মনে করতে হবে এ রাজ্যে শাহজাহান নেই। তবে সেক্ষেত্রে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। তার সাফ কথা, “মূল অভিযুক্তই যদি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাহলে ১৪৪ ধারা জারি করে কী হবে? সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়ানো ছাড়া আর কিছুই হবে না।”

আরও পড়ুন: high court

বিস্ময় প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “১৯ দিনেরপ বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে, কিন্তু যার কারণে সমস্যার সূত্রপাত তাকেই এখনও ধরতে পারল না পুলিশ! আমি বিস্মিত। ” সম্প্রতি সন্দেশখালিতে শিবু, উত্তমদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ শুনতে শিবির বসিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই ঘটনার উল্লেখ করে বিচারপতি বলেন, ‘জমি দখলের অভিযোগ শুনতে রাজ্য আলাদা ব্যবস্থা করেছে। তাই প্রাথমিকভাবে আদালত মনে করছে, এলাকাবাসীর অভিযোগের সত্যতা আছে।” এই মামলায় রাজ্য, CBI, ED-সহ সবপক্ষকে নোটিস দিয়েছে আদালত। আগামী সোমবার মামলার পরবর্তী শুনানি।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর