বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পশ্চিমবঙ্গের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ আসন বরাদ্দ রাখা হয় প্যারা টিচার বা পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য। আগেই সরকারের এই সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। দু’বছর আগের এই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল প্যারা টিচারদের এই সংরক্ষণ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই বিষয়ে আদালত কোন হস্তক্ষেপ করবে না।
প্যারা টিচারদের নিয়ে বিরাট রায় দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
প্রসঙ্গত প্যারা টিচারদের নিয়োগ, তাঁর কাজের ধরণ সবটাই অন্যদের থেকে আলাদা। এবার পার্শ্ব শিক্ষকদের সম্প্রসারণ হওয়ার ক্ষেত্রেও আর কোনো আইনি বাধা থাকছে না। বাড়তি চাকরিজনিত সুবিধার জন্য তাদের পূর্ব সম্মতি প্রত্যাহার সমর্থনযোগ্য বলেই রায় দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
শিক্ষা দপ্তরের ২০১৯ সালের নির্দেশিকা অনুসরণ করেই একজন মামলাকারী পার্শ্বশিক্ষক হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। ওই পদের জন্য তখনও পর্যন্ত এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ) প্রকল্প চালু ছিল না। গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের পয়লা এপ্রিল থেকে এই প্রকল্পটি চালু করা হয়েছে, শুধুমাত্র ৬০ বছর পর্যন্ত যারা সম্প্রসারক হিসাবে চাকরি করতে ইচ্ছুক তাদের জন্যই এই প্রকল্পটি চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশকেও টপকে গিয়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে বাংলা! প্রকাশ্যে ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
২০২৪ সালের ১৯ আগস্টের সরকারি মেমো অনুসরণে ওই নির্দেশিকা সূত্রেই আবেদনকারী শিক্ষক পার্শ্ব শিক্ষক থেকে সম্প্রসারক হওয়ার জন্য উদ্যোগী হন। কিন্তু তার এই আবেদনে যথারীতি কোনো সরকারি সম্মতি মেলেনি। তাই তিনি অনুমতি চেয়েই আদালতের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এখানে বলে রাখা ভালো, মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের সম্প্রসারক বা সম্প্রসারিকাদের জন্য যে মেমো জারি করা হয়েছে তা কিন্তু আবেদনকারীর জন্য আদৌ লাভজনক নয়।
শুধুমাত্র ওই মেমোর কারণে আবেদনকারীর সম্প্রসারক হতে চাওয়ার বিষয়ে বাধা দেওয়া যায় না। তাই আবেদনকারীর আগে পার্শ্বশিক্ষক হতে চেয়ে যে সম্মতি দিয়েছেন তা বাতিল বলে গণ্য করতে হবে। তবে সেই সাথে আদালত জানিয়ে দিয়েছে ভবিষ্যতে ওই আবেদনকারী পার্শ্বশিক্ষক থাকার জন্য আর কোনো সুবিধা দাবি করতে পারবেন না।