‘৪ মাসের মধ্যে…’! কনস্টেবল পদে চাকরি করছেন বাংলাদেশি মহিলা! বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলাদেশি মহিলা, এদিকে কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি! সম্প্রতি জমি বিবাদের বিষয়ে খোঁজখবর করতে গিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে বলে খবর। এবার এই নিয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

  • নথি জাল করে চাকরি পেয়েছেন ওই মহিলা (Calcutta High Court)!

সম্প্রতি নদিয়ার গাংনাপুর নিবানী শুভঙ্কর সরকার এই অভিযোগ এনেছেন। মামলাকারীর অভিযোগ, সুতপা সিংহ নামের এক মহিলা ‘জাল’ নথি দিয়ে কলকাতা পুলিশে (Kolkata Police) কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। মামলাকারীর দাবি, গাংনাপুর থানা অঞ্চলে দেবগ্রামের মাঠের পাড়া এলাকায় তাঁর বাড়ি রয়েছে। সেই সঙ্গেই রয়েছে বেশ কিছুটা জমি। সেই জমির পাশেই সুতপার বাবা প্রমথ সিংয়ের জমি।

অভিযোগ, শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার সঙ্গে যোগসাজশ করে মামলাকারী শুভঙ্করের জমি হাতিয়ে নেওয়ার চক্রান্ত করেছিলেন প্রমথ। এরপরেই ওই ব্যক্তির সম্বন্ধে খোঁজখবর নিতে শুরু করেন শুভঙ্কর। তখনই সামনে আসে এই চাঞ্চল্যকর খবর।

আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের জেরে তোলপাড় বাংলা! ‘রেকর্ড’ বৃষ্টি কলকাতায়, কতদিন চলবে দুর্যোগ?

মামলাকারীর দাবি, রাজ্য নির্বাচনী অফিসে তথ্য জানার অধিকার আইনে তিনি আবেদন করে প্রমথ সম্পর্কে জানতে পারেন। জানা যায়, ২০১৪ সালে ওপার বাংলা থেকে এদেশে এসে দীনবন্ধু নামের এক ব্যক্তিকে বাবা সাজিয়ে ভোটার তালিকায় নাম তোলেন প্রমথ। পরে বাবার নাম সংশোধন করেন তিনি। এরপর প্রমথের সূত্রে তাঁর পরিবারের সকলে এক এক করে এদেশের নাগরিক হয়ে যান। রানাঘাট দক্ষিণ অঞ্চলের কেন্দ্রের হয়ে যান তাঁরা।

এখানেই শেষ নয়! অভিযোগ, পরবর্তীকালে ওই ‘ভুয়ো’ ভোটার কার্ড সহ অন্যান্য নথি ব্যবহার করে কলকাতা পুলিশে কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়ে যান প্রমথের মেয়ে সুতপা। এদিকে একথা জানতে পেরেই নির্বাচনী অফিস থেকে পুলিশ সুপার, একাধিক জায়গায় অভিযোগ জানান শুভঙ্কর। গত বছর মে মাসে প্রমথ সহ তাঁর সম্পূর্ণ পরিবারকে হিয়ারিংয়ের জন্য তলব করা হয়। কিন্তু অভিযোগ, তার আগেই শুভঙ্করকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়। ফলে জামিনে মুক্ত আছেন তিনি।

Calcutta High Court

শেষমেশ বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন শুভঙ্কর। বিচারপতি শম্পা সরকারের এজলাসে সম্প্রতি এই মামলার শুনানি হয়। সবটা শোনার পর জাস্টিস সরকারের নির্দেশ, কলকাতার পুলিশ কমিশনার এই বিষয়টির তদন্ত করবেন। যাবতীয় নথিপত্র যাচাইয়ের পর সবপক্ষের বক্তব্য শুনে তাঁকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

একইসঙ্গে রানাঘাট দক্ষিণ কেন্দ্রের ইলেকশন রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁদের নিজেদের পরিচিতি প্রমাণের শেষ সুযোগ দিয়ে ভোটার লিস্ট থেকে নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি চার মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর