বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে প্রায় দু’মাস হতে চলল। তবে রাজনৈতিক চাপানউতোর এখনও বর্তমান। এবারের নির্বাচনে বাংলার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের দিকে নজর ছিল সকলের। এর মধ্যে অন্যতম ঘাটাল। এই আসনে মুখোমুখি হয়েছিলেন দুই হেভিওয়েট প্রার্থী। যদিও ফল বেরনোর পর দেখা যায় বিজেপির হিরণকে হারিয়ে বাজিমাত করেছেন তৃণমূলের দেব। এরপরেই নির্বাচনে কারচুপি, ছাপ্পার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন হিরণ চট্টোপাধ্যায়। এবার সেই মামলায় বিরাট নির্দেশ দিল আদালত।
হিরণের মামলা দেবকে নোটিশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
নির্বাচনের দিন থেকেই ভোটে কারচুপি, ছাপ্পার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন হিরণ। পুনর্নির্বাচনের দাবিও জানিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। এবার তাঁর দায়ের করা মামলায় ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবকে নোটিশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের এই মামলার শুনানি ছিল। আদালতের নির্দেশ, নির্বাচন কমিশনকে ঘাটালে ভোটের দিন সকল কাগজপত্র, ভিডিও ফুটেজ, বৈদ্যুতিন নথি সংরক্ষণ করতে হবে। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।
উল্লেখ্য, হিরণের পাশাপাশি বসিরহাট, কোচবিহার, ডায়মন্ড হারবার এবং আরামবাগের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীরা নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপর প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ওই পাঁচটি মামলা পাঁচজন পৃথক বিচারপতি বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন। শুক্রবার বিচারপতি বিভাস পট্টনায়েকের এজলাসে হিরণের (Hiran Chatterjee) দায়ের করা মামলার শুনানি হয়েছে। এর আগে বিচারপতি কৃষ্ণা রাওয়ের এজলাসে বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের দায়ের করা মামলার শুনানি হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ বাস অতীত, এবার অটো-টোটো নিয়ে বিরাট নির্দেশ! হাইকোর্টের এক রায়ে তোলপাড় বাংলা
সেদিন জাস্টিস রাও ইভিএম, সিসিটিভি, ব্যালট, ডিভিআর, নির্বাচনী সকল নথিপত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ হাজি নুরুল ইসলাম এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও নোটিশ দেওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী ৪ সেপ্টেম্বর।
এদিকে ভোটের দিন থেকেই নির্বাচনে কারচুপি, ছাপ্পার অভিযোগে সুর চড়িয়েছিলেন হিরণ। পুনরায় নির্বাচনের দাবিও শোনা গিয়েছিল তাঁর কণ্ঠে। বিজেপি প্রার্থী বলেন, ‘ভোটের দিন কেশপুরে লুঙ্গি ডান্স করে প্রশাসনের ষড়যন্ত্রে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে। সেই কারণে কেশপুরের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি’।