‘হনুমান টেক কেয়ার করবে, আমি রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তীতে নেই’, রাজ্যের আপত্তিতে সায় দিয়ে বললেন প্রধান বিচারপতি

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আপত্তি ছিল রাজ্যের। তাতেই এবার মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রেড রোডে হনুমান জয়ন্তীর (Hanuman Jayanthi) অনুষ্ঠান নয়! সিঙ্গেল বেঞ্চের পর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চেও একই সিদ্ধান্ত বজায় রাখল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।

রেড রোডে হনুমান জয়ন্তীর আবেদন খারিজ | Calcutta High Court

রেড রোডে হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠান করতে চেয়ে অনুমতি চেয়েছিল হিন্দু সেবা দল। অনুমতি না মেলায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তারা। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলা উঠলে রাজ্যের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাল্টা প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হয় হিন্দু সেবা দল।

এদিন বিচারপতি ঘোষ মামলাকারীদের আবেদন খারিজ করে বলেন, এক্ষেত্রে হলফনামা আদান প্রদানের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেওয়ার কথা বলেন তিনি। বিচারপতির নির্দেশ তার দু’সপ্তাহের মধ্যে উত্তর দেবেন মামলাকারী। জুলাই মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Calcutta High Court wants every minute details in AIDSO leader case

বিচারপতি ঘোষ রেড রোডে প্রতিবছর ঈদের (Eid) অনুষ্ঠান হওয়ার পক্ষে তাদের শতবর্ষ প্রাচীন অধিকারের কথা বলেন। জাস্টিস ঘোষ বলেন, যে অনুষ্ঠানের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে সেটি খিলাফত আন্দোলনের সময় থেকে পালন করা হয়। বিকল্প হিসেবে শহিদ মিনারে কথা বলেন বিচারপতি।

এরপরই সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবগননমের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। তবে প্রধান বিচারপতি মামলাটি শুনতে চাননি। তিনি বলেন, ‘হনুমান টেক কেয়ার করবে, আমি আর রাম নবমী, হনুমান জয়ন্তীতে নেই।’ মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, ওই রাস্তার মালিক সেনা। তাদের অনুমতি রয়েছে। তবে পুলিশ যানজট হওয়ার যুক্তি দেখিয়ে অনুমতি দেয়নি।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: ১৭ তারিখ চাকরিহারা শিক্ষকদের ফের ‘ভাগ্য পরীক্ষা’, সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে

প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, পুলিশের সঙ্গে আমিও সহমত। অন্য ধর্মের লোককে ওই জায়গায় অনুমতি দিলেই হনুমান জয়ন্তীতে দিতে হবে তার কোনও যুক্তি নেই। ১০০ বছর ধরে ওই সম্প্রদায় ওখানে ঈদের অনুষ্ঠান করে আসছে। আপনারা তেমন ইতিহাস দেখান।

Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

X