বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। মাসখানেকের অপেক্ষা শেষেই উৎসবের মেজাজে মেতে উঠবে গোটা বাংলা। পুজো প্যান্ডেলগুলির কাজও জোরকদমে চলছে। এই আবহে শহর কলকাতার একটি নামি পুজো নিয়েই জল গড়াল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। মামলা হতেই বিরাট নির্দেশ দিল আদালত।
কীভাবে প্যান্ডেলের অনুমতি? জানতে চাইল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)
দুর্গাপুজো মানেই শহর কলকাতায় মানুষের ঢল। উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র দেখা যায় এক চিত্র। এর মধ্যে বেশ কিছু পুজো রয়েছে যেগুলির বাইরে দেখা যায় দর্শনার্থীদের ভিড়। এমনই একটি পুজো হল হাতিবাগান সর্বজনীন (Hatibagan Sarbojanin)। এবার এই পুজো নিয়েই মামলা হয়েছে হাইকোর্টে। মামলাকারীদের দাবি, এবার পুজো প্যান্ডেল এমনভাবে করা হয়েছে যাতে একটি আবাসনে প্রবেশ এবং বেরনোর রাস্তাই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আবাসিকদের তরফ থেকে দমকল এবং বড়তলা থানায় অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি।
- কী নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত?
পুলিশ এবং দমকলের কাছে অভিযোগ করে লাভ না হওয়ায় হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন আবাসিকরা। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়েছে। এবার এই মামলাতেই দমকল এবং পুলিশের কাছে হলফনামা চাইল আদালত। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তার মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বোতাম টিপলেই হাজির হবে পুলিশ, নেওয়া হবে অ্যাকশন! নারী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বিরাট উদ্যোগ
মামলাকারীদের অভিযোগ, ক্ষুদিরাম বোস রোডের উত্তরে আবাসনের দরজা বন্ধ করে হাতিবাগান সর্বজনীনের প্যান্ডেল (Durja Puja) তৈরি করা হচ্ছে। গত বছরও পুজো প্যান্ডেল হয়েছে। কিন্তু তার জন্য মানুষের যাতায়াতের রাস্তা এভাবে বন্ধ হয়নি। কিন্তু এখন যা দশা, তাতে আপদকালীন পরিস্থিতিতে ওই আবাসনে অ্যাম্বুলেন্সও ঢুকতে পারবেন না।
পুজো উদ্যোক্তাদের বক্তব্য, সবার অনুমতি নিয়েই প্যান্ডেল বানানো হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকারের দাবি, গত বছর গ্রে স্ট্রিট, অরবিন্দ সরণিতে প্রচুর ভিড় হয়েছিল, যানবাহন চলাচলে অসুবিধা হওয়ার কারণে এবার প্রশাসনকে পুজোর আয়োজন একটু অন্যভাবে ভাবতে হয়েছে। এদিকে ১০ জন মামলাকারীর মধ্যে দু’জনের পরিবার প্যান্ডেলের (Durga Puja Pandal) জন্য অনুমতি দিয়ে দিয়েছে। যদিও মামলাকারীদের দাবি, আবাসনে এসে কনসেন্টের দিতে চাপ দিচ্ছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
এদিকে পুজো নিয়ে এলাকাবাসীর আপত্তির কথা শুনে বিচারপতি পাল্টা জিজ্ঞেস করেন, ‘এলাকাবাসীর আপত্তি থাকবে কীভাবে ওই পুজো প্যান্ডেলের অনুমতি প্রদান করা হল?’ এরপর ওই পুজো প্যান্ডেল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার ছবি দেখে আদালত (Calcutta High Court) বলে, এভাবে যদি প্যান্ডেল করা হয় তাহলে যে কোনও মানুষের সমস্যা হবে। যদিও এই একটি প্যান্ডেল নয়, পুজোর সময় বহু এলাকার মানুষকেই এই সমস্যায় ভুগতে হয়। মাইকের উপদ্রবের পাশাপাশি যাতায়াতের জন্য এতটুকু ফুটপাথ থাকে যাতে বয়স্ক নাগরিকদের সমস্যা হয়।
হাতিবাগান সর্বজনীনের পুজো প্যান্ডেলের অনুমতি কীভাবে দেওয়া হল, এবার দমকল এবং বড়তলা থানাকে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। অন্যদিকে পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা শাশ্বত বসু বলেন, এলাকাবাসীর অনুমতি নিয়েই প্যান্ডেল বানানো হচ্ছে। আমরা তথ্য সহ সেটা আদালতকে জানিয়েছি। এবার দমকল আর পুলিশ জানাবে।