বাংলা হান্ট ডেস্কঃ যাদবপুর (Jadavpur University) কাণ্ড নিয়ে বিগত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে পথে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া সহ রাজ্যের একাধিক রাজনৈতিক দল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই ঘটনার প্রতিবাদে মিছিল করতে চলেছেন। এবার সেই নিয়েই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
শুভেন্দুর মিছিল নিয়ে কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
যাদবপুর কাণ্ডের প্রতিবাদে আগামী ৯ মার্চ সুলেখা মোড় থেকে মিছিল করতে চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে মিছিলের অনুমতি নিয়ে শুরু হয় টানাপড়েন। জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এর শুনানি ছিল। সেদিনই বড় নির্দেশ দিয়ে দেন তিনি।
এদিন শুভেন্দুর মিছিলে অনুমতি দিলেও, রুট বদলে দেন বিচারপতি ঘোষ। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, নবীনা সিনেমা হল থেকে যাদবপুর থানার ১০০ ইয়ার্ড দূরে শেষ করতে হবে শুভেন্দুর মিছিল। জমায়েতে ৭৫০ জন থাকতে পারবেন। সবটাই যাদবপুর চত্বর থেকে ১০০ ইয়ার্ড দূরে করতে হবে। সেই সঙ্গেই সকল বিধিনিষেধ মেনে মিছিল আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আরও পড়ুনঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে বিস্ফোরক কালীঘাটের কাকু! নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় খবর! CBI চার্জশিটে তোলপাড়
এদিন আইনজীবী রাজদীপ মজুমদার, ময়ূখ মুখোপাধ্যায়রা শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করছিলেন। অন্যদিকের রাজ্যের তরফে ছিলেন আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এদিন এজলাসে দাঁড়িয়ে জোরালো সওয়াল করেন ময়ূখ। তিনি বলেন, সম্প্রতি ওই অঞ্চলে শাসকদল, বামেরা কর্মসূচি করেছে। সেগুলো কীভাবে অনুমতি পেল?
পাল্টা বিচারপতি ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) বলেন, ‘আদালত কোনও বেআইনি কাজ সমর্থন করে না। আপনারা যাদবপুরেই কেন করছেন? আমি বলছি না আপনারা করবেন না’। এরপর রাজদীপ বলেন, তাহলে বাঘাযতীন থেকে সুলেখা মোড় অবধি কিংবা ৮বি বাসস্ট্যান্ড অবধি অনুমতি দেওয়া হোক। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী প্রশ্ন করেন, তারা ওই এলাকাতেই কেন মিছিল করতে চাইছেন? এর পরিবর্তে তিনি গড়িয়া থেকে মিছিল করার কথা বলেন।
সব পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাই দেখবে। সেই সঙ্গেই আয়োজকদেরও নজর রাখতে হবে। এরপরেই বিচারপতি ঘোষ বলেন, আগামী ১৩ মার্চ অবধি আদালতের নির্দেশ ছাড়া যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় কোনও রাজনৈতিক সংগঠন আপাতত কোনও কর্মসূচি করতে পারবে না।