‘দু’জনই ক্যালাস’, হাইকোর্টে বলল রাজ্য, বিচারপতি বসুর এজলাসে শোরগোল

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসের ভিতরে তাদের গায়ে বহিরাগতরা ঢুকে রং-জল ছোড়ে। যোগেশ চন্দ্র ল কলজের পড়ুয়াদের একাংশ অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা এদিন ওঠে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। মামলায় চারু মার্কেট থানার ওসিকে তলব করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। যোগেশ চন্দ্র ল কলেজের (Jogesh Chandra Chaudhuri Law College) পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ ছিল, বহিরাগতরা সকলেই তৃণমূল নেতা সাব্বির আলির ‘ঘনিষ্ঠ’।

ওসিকে তলবের পাশাপাশি কলেজে নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন হাইকোর্টের নির্দেশ মত চারু মার্কেট থানার ওসি পৌঁছন আদালতে। বলেন, “আমরা এখন কোনও অভিযোগ পাইনি।” এদিকে ল কলেজের আইনজীবী বলেন, “সিসিটিভি আগেই ছিল। এবার আমরা বায়োমেট্রিক চালু করতে চাই।”

আরও পড়ুন: বড়সড় রদবদল, উলটে গেল “টপ ৫”! দর্শকদের বিরাট ধাক্কা দিয়ে এক নম্বরে উঠে এল স্টার জলসার “ফ্লপ” সিরিয়াল

আইনজীবীর কথা শুনে বিচারপতি বলেন, “আপনারা হলফনামা দিয়ে জানান কী কী প্রস্তাব রয়েছে?” এদিকে রাজ্যের আইনজীবী বলেন,”দুই কলেজের প্রিন্সিপালই ক্যালাস। হাইকোর্টে আইনজীবীরা দুই পক্ষের মারামারি করলে পুলিশ আসবে নাকি? উনি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি।”

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: ৪ বছর ধরে কোথায় যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের টাকা? লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিরাট কান্ড, এবার ফাঁস হল সবটা

একথা শুনে বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “রাজ্য হিসেবে আপনি কলেজের জন্য ব্যবস্থা নিন। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে। পুলিশকে পদক্ষেপহীন করে রাখতে আপনারা সফল।” ডে কলেজের প্রিন্সিপালের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন,”কলেজের মধ্যে যে ভিডিয়ো দেখা গেল এগুলো দেখতে হবে প্রিন্সিপালকে৷ দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর