বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সোমবার নবান্নে একটি বিশেষ বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেআইনি জমি দখল, সরকারি জমি বেহাত হওয়া, হকার সমস্যা সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। পুলিশ থেকে শুরু করে আমলা কেউ বাদ যাননি সেদিন। এরপর থেকেই চোখে পড়ছে প্রশাসনিক তৎপরতা। দিন কয়েক আগে যেমন মাঝেরহাটে পোর্ট ট্রাস্টের জমি মুক্ত করা নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বেঁধেছিল। সেই জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) অবধি।
মাঝেরহাট (Majherhat) স্টেশনের বিপরীতে ২ নং হেলেন কেলার সরণিতে পোর্ট ট্রাস্টের বেশ কিছু জমি রয়েছে। সেগুলি দখলের অভিযোগ আনা হয়। দিন কয়েক আগে আদালতের নির্দেশ মতো সেগুলি দখলমুক্ত করতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ এবং আইনজীবীর উপস্থিতিতে দোকান ভাঙা শুরু হতেই সুর চড়ান এলাকাবাসীরা।
নোটিশ ছাড়া সরানো যাবে বলে দাবি করতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এদিকে আগেই মাঝেরহাটে পোর্ট ট্রাস্টের (Port Trust) জমি খালি করার দাবি জানিয়ে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। সিঙ্গেল বেঞ্চ সেই জমি খালি করার নির্দেশও দিয়েছিল। তবে খালি করতে গেলেই বাঁধে বিপত্তি।
আরও পড়ুনঃ সরকারি স্কুলের জমি দখল! তৈরি হচ্ছে বাড়ি-দোকান! TMC-র পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন ওই এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ওই মামলার শুনানি ছিল। আপাতত জমি দখল মুক্ত করার কাজে কোনও রকম স্থগিতাদেশ দেয়নি উচ্চ আদালত। শুক্রবার ফের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা শুনবে।
অভিযোগ উঠেছে, বন্দরের জমিতে একাধিক দোকান থেকে শুরু করে পার্টি অফিস তৈরি হয়েছে। তাদের দাবি, সেখানে হাসপাতাল তৈরি করা হবে। এই আর্জির ভিত্তিতে হাই কোর্টের তরফ থেকে জমি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, সব পক্ষের কথা না শুনে কীভাবে উচ্চ আদালত নির্দেশ দিল? বাসিন্দারা বলেন, আমরা ৩৫ বছর ধরে এখানে থাকছি। সেকথা শুনে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম পাল্টা বলেন, ‘১০০ বছরের বাসিন্দা হলেও কোনও বিষয় নয়’।