‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! বিরাট নির্দেশ বিচারপতি ঘোষের! কোন মামলায়?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০ মার্চ অবধি সময়। তার মধ্যে রিপোর্ট পেশের নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সম্প্রতি একটি মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh)। বছর দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের (Murshidabad Medical College) এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার অস্বাভাবিক মৃত্যু সংক্রান্ত এই মামলায় একাধিক নির্দেশ দেন বিচারপতি।

কী কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

২০২৩ সালের ৩০ জুন তনুশ্রী গোস্বামী নামের এক চিকিৎসক-পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী ছিলেন। তনুশ্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। তাঁদের দাবি, আত্মহত্যা করেছেন ওই চিকিৎসক-পড়ুয়া। তবে মৃতার পরিবারের অভিযোগ, মানসিক অত্যাচারের জেরে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছেন তাঁদের মেয়ে। এই নিয়ে ওই বছরেরই ৩ জুলাই একটি এফআইআর দায়ের করা হয়।

তনুশ্রীর পরিবারের অভিযোগ, অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তাঁদের মেয়ের কল রেকর্ড থেকে শুরু করে নানান সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল যাচাই করে এই ঘটনার নেপথ্যে কে বা কারা জড়িত, সেটা খোঁজার চেষ্টা করেনি পুলিশ। মৃতার ময়নাতদন্তও সঠিকভাবে করা হয়নি বলে অভিযোগ করেছে তাঁর পরিবার। পরবর্তীতে জল গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। পুলিশি তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ তুলে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন প্রয়াত চিকিৎসক-পড়ুয়ার পরিবার।

আরও পড়ুনঃ ‘আমি হলে আরও জোরে চালাতাম’! ব্রাত্যের গাড়িতে ‘চাপা’ যাদবপুরের ছাত্র! বিস্ফোরক দেবাংশু

সম্প্রতি বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এই মামলাটি উঠেছিল। রাজ্যের তরফ থেকে কেস ডায়েরি, হিস্টো প্যাথোলজিক্যাল রিপোর্ট, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও ভিডিওগ্রাফি পেশ করা হয়। সেই সঙ্গেই দাবি করা হয়, এটি আত্মহত্যার ঘটনা। ওই চিকিৎসক-পড়ুয়া মানসিক অত্যাচারের শিকার ছিলেন কিনা সেটা তদন্তে উঠে আসেনি।

Calcutta High Court

অন্যদিকে তনুশ্রীর পরিবারের আইনজীবী হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দাবি করেন, এই ঘটনার তদন্তে যথেষ্ট গাফিলতি রয়েছে। সেই কারণে অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার হাতে তদন্তভার তুলে দেওয়া হোক। দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি ঘোষ নির্দেশ দেন, রাজ্যের পেশ করা ময়নাতদন্তের নথি সহ যাবতীয় মেডিক্যাল রেকর্ড যাচাই করবেন কল্যাণী এইমসের ডিরেক্টর। এরপর আগামী ২০ মার্চের মধ্যে তিনি রিপোর্ট পেশ করবেন। এরপর এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত। ২১ মার্চ ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর