বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রশ্নের মুখে রাজ্য সরকারের (Government of West Bengal) দফতর। বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) প্রশ্ন, কর্পোরেশনের একজন উচ্চপদস্থ কর্তাকেও পুলিশ এভাবে হেনস্থা করে? একইসঙ্গে বিরাট নির্দেশ দিয়ে দেন তিনি। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
কী নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
পূর্ব বর্ধমানের একটি মামলার সূত্রে কলকাতা হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের ভূমিকা। জানা যাচ্ছে, মেমারির একটি বাড়ি বিক্রি নিয়ে এই মামলার সূত্রপাত। ২০২২ সালের একটি সম্পত্তি বিক্রয় করে উচ্চপদস্থ কর্তার থেকে টাকা নেওয়া হয়। রাজ্যের ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের কথায়, টাকা পয়সা পেয়ে গেলেও বাড়ি থেকে জবরদখলকারীদের ওঠানো না যাওয়ায়, ওই ব্যক্তিকে বাড়ি ‘হ্যান্ডওভার’ করা যাচ্ছে না।
এরপর ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশনের তরফ থেকে ওই ব্যক্তিকে আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই নিয়েই কলকাতা হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্যের ওই দফতর। বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, ‘আপনাদের জন্য কেন মামলাকারী অসুবিধায় পড়বেন? তিন বছর কেটে গেলেও আপনারা কেন আদালতে আসেননি? মামলাকারীর কাঁধে কেন বন্দুক রেখেছেন? তাঁকে কেন মামলা করতে বলেছেন?’
আরও পড়ুনঃ ‘চুরি ধরে ফেলেছি’! BJP-র বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! মমতার দাবিতে তোলপাড়
ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন দফতরের তরফ থেকে কেন এই বিষয়ে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) সাহায্য নেওয়া হয়নি? প্রশ্ন করেন বিচারপতি। জাস্টিস সিনহা এদিন বলেন, ‘আপনাকে পুলিশ সাহায্য করছে না। তাহলে ওঁর কী হবে? আপনি রাজ্য সরকারের দফতর, তাই কেন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করবেন? পুরসভার উচ্চপদস্থ অফিসারকেই পুলিশ এভাবে হ্যান্ডেল করে?’
জানা যাচ্ছে, টাকা নেওয়ার পরেও মামলাকারী ব্যক্তিকে সম্পত্তি না দেওয়ার কারণে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ভর্ৎসনার মুখে পড়ে ফিনান্সিয়াল কর্পোরেশন। এরপর এসপি বর্ধমান এবং মেমারি থানাকে বিচারপতি সিনহার নির্দেশ, কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেটা রিপোর্ট আকারে পেশ করতে হবে।