বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Pole Violence) মামলায় বিচারপতি হরিশ টন্ডনের (Harish Tandon) ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘আমরা চাই, মঙ্গলবারের মধ্যে সব ঘরছাড়া ব্যক্তি বাড়ি ফিরুক। যেখান থেকে অভিযোগ আসছে, সেখানে পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। অশান্তি নিয়ে অনেক গুরুতর অভিযোগ এসেছে, আমরা বাস্তব চিত্র জানতে চাই।’
প্রসঙ্গত এদিন কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) রাজ্যের তরফ থেকে সাওয়াল করা হয়েছিল, ‘১৮ জুন পর্যন্ত ডিজির ইমেলে ৮৫৯টি অভিযোগ এসেছে। ২০৪ টি ক্ষেত্রে আদালতগ্রাহ্য অভিযোগ আছে, তাই এফআইআর হয়েছে। ১৭৫টি অভিযোগে আদালত গ্রাহ্য অপরাধ নেই।’ প্রসঙ্গত লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়া বিজেপির একাধিক কর্মী সদস্য।
কিছুদিন আগেই এই সমস্ত ঘরছাড়া কর্মী সমর্থকদের নিয়ে রাজভবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে তিনি বাধা পেয়েছিলেন। যদিও এরপর ধর্ণায় বসার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েও পাননি শুভেন্দু। তাই শেষ পর্যন্ত এই মামলার নিষ্পত্তির জন্য তিনি দ্বারস্থ হয়েছিলেন আদালতের।
আরও পড়ুন: ‘আমি ওই সব টাকা নিই না, অফিসাররা খায়..,’ নবান্নে বসে ‘বেফাঁস’ মমতা! এবার চরম হুঁশিয়ারি
লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ। তৃণমূল কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলে ভোট পরবর্তী হিংসা চালানোর জন্য একাধিকবার প্রতিবাদে সরব-ও হয়েছেন রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের অত্যাচারের জন্য নাকি দিনের পর দিন ঘরছাড়া বিজেপির বহু কর্মী সদস্যরা।
শুধু তাই নয় বিজেপির দাবি রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে নাকি ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে একাধিক কর্মীর। বিরোধীদের অভিযোগ লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় তাদের একাধিক নেতাকর্মীরা ঘরছাড়া। বাধ্য হয়ে কেউ থাকছেন দলীয় অফিসে কিংবা অন্য কোথাও। অন্যদিকে তৃণমূলের তরফেও বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা চালানোর পাল্টা অভি অভিযোগ আনা হয়েছে।