বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত শুক্রবার নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের (Bikash Ranjan Bhattacharya) চেম্বারের বাইরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। উড়ে আসে প্লাস্টিকের বোতল। কেবল আইনজীবীই নন, বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য এবং স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় এবার কড়া অবস্থানে হাইকোর্ট।
কড়া হাইকোর্ট | Calcutta High Court
বিক্ষোভ দেখানো চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ ছিল, সুপ্রিম কোর্টের সুপারনিউমেরারি পদ নিয়ে নির্দেশের পরেও উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগ মামলার অগ্রগতি হয়নি উচ্চ আদালতে। এর নেপথ্যে রয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন। তাঁদের ‘আঁতাঁত’এর কারণেই মামলার অগ্রগতি হচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছিলেন বিক্ষোভকারীরা।
বিচারপতিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য এবং স্লোগান দেওয়ায় ঘটনায় আদালত অবমাননার মামলার জন্য এবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন বার অ্যাসোসিয়েশনের কিছু আইনজীবী। ইতিমধ্যেই প্রধান বিচারপতি এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ তরফে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার অনুমতি মিলেছে।
মামলাকারী আইনজীবীদের আদালতে বক্তব্য, এভাবে বিক্ষোভের ঘটনায় আইনজীবীদের অনেকেই আতঙ্কিত। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা বিচারপতি এবং আইনজীবীদের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে আইনজীবীদের বক্তব্য, ‘ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা ছিল। তার পরেও কী ভাবে জমায়েত হল?’ বিচারপতি বসুর ছবি পা দিয়ে মাড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের একাংশের বিরুদ্ধে।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/F53fJHa7ai0?si=jLRHI_8DiAnwifgR
অভিযোগ, পুলিশ নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়ে গোটা ঘটনা দেখেছে। কোনও পদক্ষেপ করে নি। তাঁদের আবেদন, কেন কোনও পদক্ষেপ করা হল না, পুলিশ কমিশনারকে রিপোর্ট দিতে বলা হোক। পূর্বের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ঘটনা প্রশ্ন তুলে মামলাকারীদের প্রশ্ন, কেন বারংবার বিচারপতি এবং বিচারব্যবস্থাকে নিশানা করা হচ্ছে।
মামলাকারী আইনজীবীরা আদালতে জানান, বিক্ষোভকারীদের দু’জনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়েছে। তাঁরা দুজনেই মামলাকারী। এদিন এই মামলার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য, ”কোনো বিচারপতির রায় পছন্দ না হলে উচ্চতর আদালতে গিয়ে আবেদন করুন। এভাবে আদালত এবং বিচারপতির বিরুদ্ধে এসব আচরণ করা যায় না। এভাবে বিক্ষোভ দেখাবেন কেন?’ চিফ জাস্টিসের হুঁশিয়ারি, ‘স্পষ্ট ভাষায় বলছি, এই কাজ করা যায় না। এঁদের সকলকে চিহ্নিত করতে হবে।’