বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ। বর্তমানে অবশ্য জেলবন্দি সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আরজি কর ধর্ষণ খুন (RG Kar Case) ও আর্থিক দুর্নীতি, দুই মামলাতেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। এবার তাঁকে নিয়েই বড় নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সন্দীপকে নিয়ে কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলার জল ইতিমধ্যেই উচ্চ আদালত অবধি গড়িয়েছে। এই মামলায় নথি জটিলতার জেরে আরও ১ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে চার্জ ফ্রেমের প্রক্রিয়া। অভিযুক্তদের নথি গোছানোর জন্য আরও ৭ দিন সময় দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গেই আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত সন্দীপের নামের আগে ডাক্তার লেখা নিয়েও কড়া পর্যবেক্ষণ করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি বাগচির কথায়, ‘যেহেতু মেডিক্যাল কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে সাসপেনশনে সন্দীপ ঘোষ। সেই কারণে আদালত তাঁকে এখন নামের আগে ডাক্তার হিসেবে দেখবে না’। জানা যাচ্ছে, মামলায় সন্দীপের নামের আগে থেকে ডাক্তার লেখা প্রত্যাহার করেছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার! ‘চিরতরে পার্থর মুখ বন্ধ করতে চাইছে তৃণমূল’! তোলপাড় বাংলা
আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষের নামের আগে ডাক্তার লেখা প্রসঙ্গে তাঁর আইনজীবী অয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘মেডিক্যাল কাউন্সিলের তরফ থেকে সন্দীপ ঘোষকে সাসপেন্ড করা হয়ছে। মেডিক্যাল কাউন্সিল তাঁর রেজিস্ট্রেশনও বাতিল করেছে’।
বিচারপতি বাগচির (Justice Joymalya Bagchi) পর্যবেক্ষণ, ‘অভিযোগ ভীষণ গুরুতর। সব অভিযুক্ত জেলে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে দৃষ্টান্তমূল শাস্তি না হলে মানুষের বিচারব্যবস্থার প্রতি ভরসা থাকবে না। স্বাস্থ্যের মতো ক্ষেত্রে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগ গুরুতর’।
আরজি কর দুর্নীতি মামলার ক্ষেত্রে জাস্টিস বাগচি আরও বলেন, ‘আদালত মনে করে, একজন পাবলিক সার্ভেন্টের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ উঠলে তাঁকে কিংবা তাঁদের জেলে রেখেই বিচার হওয়া উচিত। বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত হওয়া উচিত’।
এদিকে নথি জটিলতার কারণে আরজি কর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জ ফ্রেমের প্রক্রিয়া আরও ১ সপ্তাহ পিছিয়ে গেল। তবে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে এদিনও বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত করার কথা বলা হয়। এক সপ্তাহ পর ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।