বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ, খুনের ঘটনা নিয়ে বর্তমানে ফুঁসছে গোটা বাংলা। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। এই আবহে রাজ্যের আরও এক মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা সামনে এল। সেখানে ফের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের করা হয়েছে মামলা।
শিরোনামে রাজ্যের আরও এক মেডিক্যাল কলেজ (Calcutta High Court)
সম্প্রতি জাকির হোসেন মেডিক্যাল কলেজ থেকে এক শিক্ষার্থীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে পুলিশের কাছে এফআইআর করতে গেলেও তা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গত ১৪ আগস্ট অভিযোগ জানাতে গেলেও পুলিশের (Police) তরফ থেকে এফআইআর নেওয়া হয়নি। এবার এই নিয়েই হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।
- কী আবেদন জানাচ্ছে পরিবার?
নিহত পড়ুয়ার পরিবারের আবেদন, সিবিআই (CBI) কিংবা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার হাতে এই ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হোক। তাঁদের অভিযোগ, মৃত পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের প্রথম রিপোর্টে তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের কোনও উল্লেখ করা হয়নি। তাই দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করার দরকার আছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ আরজি করে ফের ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ! নজরে বুলবুল! মহিলার আসল পরিচয় জানলে মাথা ঘুরে যাবে
পাল্টা এই মামলায় রাজ্যের তরফ থেকে বলা হয়, ১৩ আগস্ট একটি অচেনা নম্বর থেকে পুলিশের কাছে ফোন এসেছিল। সেই সময় ঘটনা সম্বন্ধে জানা যায়। এরপর মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। পরের দিন ময়নাতদন্ত করা হয়। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন।
জানা যাচ্ছে, পুলিশের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বরং আদালতের বক্তব্য, নিয়মমাফিক ময়নাতদন্ত হয়ে কিনা আগে সেটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। একইসঙ্গে হাইকোর্ট জানতে চায়, ময়নাতদন্তের সময় কি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত ছিল? পোস্টমর্টেম সম্বন্ধে আদালত সম্পূর্ণ তথ্য চাওয়ার পাশাপাশি জানতে চেয়েছে কেন পুলিশ প্রথমে পরিবারের অভিযোগ নেয়নি।
সব ‘দায়’ সংবাদ মাধ্যমের! RG Kar কান্ড নিয়ে বিস্ফোরক ফিরহাদ, বললেন…