বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় এবং সেই অনুযায়ী বিচারব্যবস্থায় আনা হয় এক বড়সড় বদল; যেখানে এসএসসি সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে তাঁর স্থানে নিয়ে আসা হয় রাজাশেখর মান্থাকে। এছাড়াও অন্যান্য একাধিক পদে করা হয় বদল। তবে সম্প্রতি এই পরিবর্তন আসলেও এদিন নিজের পুরনো মেজাজেই দেখা গেল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে।
এদিন হাইকোর্টে অন্যায় ভাবে শিক্ষকতার চাকরি থেকে বরখাস্ত করার একটি মামলা দায়ের করেন নাসিরউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি আর সেই মামলার শুনানি চলাকালীন বিচারপতি বলেন, “এটা কি মগের মুলুক। দীর্ঘ নয় বছর ধরে কোনো স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা সম্ভব হয়নি আর তা হচ্ছে কেবলমাত্র আপনাদের মত কিছু মানুষের কারণে। এটি দুর্ভাগ্যজনক।” এমনকি এই মামলাটি খারিজ করে দেওয়ার পাশাপাশি এদিন বিচারপতি ‘স্থানীয় বিধায়কের সুপারিশে চাকরি পাওয়ার প্রসঙ্গ’-টিও তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিককালে স্কুল সার্ভিস কমিশন দুর্নীতি মামলায় একের পর এক নতুন তথ্য সামনে এসে চলেছে, যা নিয়ে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। একের পর এক নেতা এই দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে; এরইমাঝে এদিন রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে নাসিরউদ্দিন শেখ।
পেশায় শিক্ষক এই ব্যক্তি নদীয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে 1998 সাল থেকে 2007 সাল পর্যন্ত দীর্ঘ নয় বছর ধরে Temporary Teacher পদে নিযুক্ত ছিলেন। অভিযোগের, এরপরে তাঁকে সেই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় আর সেই কারণেই পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য শিক্ষা দফতরের বিরুদ্ধেই একটি মামলা দায়ের করেন ওই ব্যক্তি।
যদিও অপরদিকে রাজ্যের দাবি, “নাসিরউদ্দিন শেখ যে পদে বরখাস্ত করার জন্য অভিযোগ করছেন, সেটি পার্মানেন্ট নয়; 1998 সালে অস্থায়ী পদেই তাঁকে নিযুক্ত করা হয়। এ সকল ক্ষেত্রে যে মুহূর্তে স্থায়ী পদে নিযুক্ত করা হয়না, সেই সময় দাঁড়িয়ে বিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কয়েকজনকে শিক্ষকতার চাকরি প্রদান করা হয়।” এমনকি শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে অভিযোগকারীকে এই সম্পর্কে অবগত করা হয়েছিল বলেও এদিন দাবি তোলেন সরকারি আইনজীবী। সূত্রের খবর, এরপরেই এই মামলাটি খারিজ করে দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।