বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ফের ধাক্কা রাজ্য সরকারের। অনিমেষ কর্মকার নামে এক প্রাথমিক শিক্ষকের (Teacher) মামলায় প্রশ্নের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ভূমিকা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা উঠলে তার সাফ পর্যবেক্ষণ, সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ন্যায্য প্রাপ্য ফিরিয়ে দিতে হবে।
শিক্ষকের (Teachers) ঠিক কি অভিযোগ?
অনিমেষ নামে ওই শিক্ষকের মামলাকারীরা আদালতে জানান, ২০১৪ সালের টেট-এ ছ’টি প্রশ্ন ভুল ছিল। তার জেরে সেই সময় অনেকেই পাশ করতে পারেননি। তবে পরে একাধিক বার আদালতে ভুল প্রশ্ন সংক্রান্ত মামলা হলে সেই ছ’টি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দেওয়ার নির্দেশ মেলে। ফলে পাশ করেন অনিমেষ সহ অনেকেই।
পরে পাশ করা ওই প্রার্থীদের মধ্যে যারা ইন্টারভিউ পাশ করেন তাদের ২০২২ সালে নিয়োগ করে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশেই নিয়োগ হয়েছিল। এক্ষেত্রে রাজ্যের ভুলে দেরিতে চাকরিতে যোগ দিতে হয় অনিমেষকে। অভিযোগ তা সত্ত্বেও ২০১৭ সাল থেকে চাকরির প্রাপ্য সুবিধা অনিমেষকে দিচ্ছিল না রাজ্য সরকার।
মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ২০১৭ সাল থেকে ইনক্রিমেন্ট ধার্য করা হলেও সেই টাকা তার মক্কেল পাবেন না। যার প্রভাব পড়বে শিক্ষকের প্রাপ্য বেতনে। এরপরই এই মামলায় সংশ্লিষ্ট কর্মীকে সিনিয়রিটি এবং ইনক্রিমেন্ট থেকে বঞ্চিত করা যাবে না বলে নির্দেশ দিলেন জাস্টিস মান্থা।
আরও পড়ুন: ‘যত দ্রুত সম্ভব ফিরিয়ে দিন..,’ ভরা এজলাসে বিরাট নির্দেশ জাস্টিস সিনহার, তোলপাড় হাইকোর্ট
বিচারপতির নির্দেশ, সরকারের ভুলে চাকরিতে যোগ দিতে দেরি হয়েছে। তাই ওই শিক্ষককে (Teacher) ন্যায্য প্রাপ্য দিতে হবে। হাইকোর্টের নির্দেশ, মামলাকারীকে ২০১৭ সাল থেকে সিনিয়রিটি এবং ইনক্রিমেন্ট ধার্য করতে হবে। ২০২২ সালের ইনক্রিমেন্ট এরিয়ার হিসেবে দেওয়া হবে তাকে।