বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ইতিমধ্যেই এই কাণ্ডে নাম জড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েটের। এবার এই মামলার তদন্তেই ED-র কিছু আধিকারিকের গা ছাড়া মনোভাব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফ থেকে দাবি করা হয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে মূল সুবিধাভোগীর হয়েছে চাকরি বিক্রির টাকা তুলেছে অন্য আর একজন।
হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। সেই সময়ই জাস্টিস সিনহা বলেন, কয়েকজন ED আধিকারিকরা (Enforcement Directorate) ঠিকভাবে তদন্ত করছে না। আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে একথা স্মরণ করিয়ে জাস্টিস সিনহা বলেন, এই ব্যাপারে আদালতের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। ওনাদের সতর্ক হতে বলুন।
শুনানি চলাকালীন বিচারপতি জানতে চান, এই মামলার অভিযুক্ত এবং সাক্ষী সবার জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে কিনা। উল্লেখ্য, এই মামলাতেই (West Bengal Recruitment Scam) কিন্তু গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর মা-বাবাকে তলব করেছিল ED। তবে তাঁরা প্রত্যেকে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ ১৪% অতীত, এবার ১৮% DA পাবেন পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা! রইল সরকারের নয়া আপডেট
এদিনের শুনানির সময় ED-র আইনজীবী হাই কোর্টকে জানান, এই মামলায় ED ১৪৮ কোটি এবং CBI ১৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অভিষেকের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের (Leaps and Bounds) আবার ৭ কোটি রয়েছে। এই তথ্য শোনার পর জাস্টিস সিনহা বলে ওঠেন, ‘আমি সেটা জানি। তবে কীভাবে ওই টাকা উপার্জন হল, সেটা ED-কে জানতে হবে’।
একথা শোনার পর ED-র আইনজীবী আদালতকে জানায়, অপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি CBI এই বিষয়টির তদন্ত করছে। এদিন CBI-এর আইনজীবী হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দেন। উক্ত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী বলেন, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে চাকরি বিক্রির পরিবর্তে যে টাকা তোলা হয়েছে, সেটা মূল সুবিধাভোগীর হয়ে অন্য একজন তুলেছেন বলে জানা যাচ্ছে।