বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জয়নগরে নাবালিকা ধর্ষণ খুনের ঘটনার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এই মামলার শুনানিতেই কল্যাণী এইমসের পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করল আদালত। গত রবিবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে জরুরি ভিত্তিতে এই শুনানি হয়েছে। সেখানেই কল্যাণী এইমসে ময়নাতদন্তের পরিকাঠামো নেই কেন? জানতে চান বিচারপতি।
কল্যাণী এইমসের পরিকাঠামো নিয়ে ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট (Calcutta High Court)!
উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো জয়নগরকাণ্ডের নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত কল্যাণীর জেএনএম হাসপাতালে হয়েছে। ময়নাতদন্ত করেছেন এইমসের (Kalyani AIIMS) বিশেষজ্ঞরা। রবিবার এই নির্দেশ দেওয়ার সময়ই কল্যাণী এইমসের পরিকাঠামো নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করেন জাস্টিস ঘোষ।
বিচারপতি বলেন, এইমস তৈরি হওয়া সত্ত্বেও মানুষ ট্রিটমেন্টের জন্য কেন ভেলোরে যাবে? কল্যাণী এইমসে অপারেশন থিয়েটার রয়েছে কিনা, সেখানে কতগুলি অপারেশন হয়েছে এদিন তা জানতে চায় হাইকোর্ট। বিচারপতি ঘোষ (Justice Tirthankar Ghosh) বলেন, বিগত ৫ বছর ধরে পড়ুয়ারা ওখানে লেখাপড়া করছেন। ময়নাতদন্তের অভিজ্ঞতা ছাড়া কীভাবে MBBS পাশ করবেন? বিস্ময় প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘১ নভেম্বর থেকে…’! জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনের মাঝেই এই দাবি মেনে নিল রাজ্য! বড় ঘোষণা সরকারের
কল্যাণী এইমসে দিল্লির মতো না হলেও, অন্ততপক্ষে ঋষিকেশ এইমসের মতো পরিকাঠামো তৈরির কথা বলেন জাস্টিস ঘোষ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকে এদিন নির্দেশও দেন তিনি। বিচারপতি বলে, যে যে বিষয়ে রাজ্যের তরফ থেকে অনুমোদন দিতে হবে, রাজ্য সেই সেই বিষয়ে অনুমোদন দিয়ে সহায়তা করবে। কোনও রকম বাধা তৈরি করা যাবে না। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ, আগামী বছর তথা ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
এদিকে আবার উচ্চ আদালতের নির্দেশ মতো গতকাল জয়নগরকাণ্ডের (Jaynagar Case) নির্যাতিতার ময়নাতদন্ত করেন এইমসের বিশেষজ্ঞরা। বেলা ১২টা থেকে ময়নাতদন্ত শুরু হয়েছিল বলে খবর। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে সেই রিপোর্ট। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ওই নাবালিকা। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।
রবিবারের শুনানিতেই এই ঘটনায় পকসো আইন যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। সুরতহাল রিপোর্টে যৌন নির্যাতনের ইঙ্গিত পাওয়া সত্ত্বেও কেন পকসো আইন যোগ করা হয়নি? জানতে চায় আদালত। রাজ্যের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, ‘যা যা অভিযোগ রয়েছে, আইন অনুযায়ী আমরা সেই সকল ধারা যোগ করে দেব’।