বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পাঁচ মাস ধরে নিয়মিত স্কুলে যাচ্ছেন। অথচ মিলছে না কোনও বেতন। অভিযোগ, দুই শিক্ষিকার মাইনে বন্ধ করে রেখেছে বহরমপুর পুরসভা। ‘দুর্ব্যবহার’ করার অভিযোগ আনা হয়েছে ওই দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। শুক্রবার এই মামলায় বিরাট নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র।
দুই শিক্ষিকার বেতন বন্ধ! বড় নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
জানা যাচ্ছে, বহরমপুরের ওই দুই শিক্ষিকার নাম গীতা চৌধুরী ও শিবানী সাহা। গত মে মাস থেকে তাঁর মাইনে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ। নিয়মিত স্কুলে গেলেও তাঁদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না। প্রাপ্য মাইনের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গেই ওই দুই শিক্ষিকার হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) চিঠিও লিখেছেন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পুজোর আগেই গীতাদেবী এবং শিবানীদেবীর প্রাপ্য বেতন মিটিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
হাইকোর্টের (Calcutta High Court) তরফ থেকে অবশ্য আগেই এই মামলার শুনানিতে ৭ দিনের মধ্যে ওই দুই শিক্ষিকার বেতন মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও বহরমপুর পুরসভার কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। আদালতের বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে টাকা না মেটানোয় গীতাদেবী এবং শিবানীদেবী আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে জাস্টিস কৌশিক চন্দ্রের এজলাসে মামলা করেন। সেই শুনানিতেই বহরমপুর পুরসভার পুরপ্রধান তৃণমূলের নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়কে হাজিরার নির্দেশ দিল আদালত। আগামী ২২ নভেম্বর তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার অতীত! এই প্রকল্পেও মাসে মাসে মিলবে টাকা! দুর্দান্ত উদ্যোগ রাজ্য সরকারের
বেতন বন্ধ করার কারণ হিসেবে শিক্ষিকা (School Teacher) শিবানীদেবী জানান, পুরসভায় গিয়ে দেখা না করার জন্য কোভিডের সময় তাঁদের মাইনে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। শিশুদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার না করার কথা বলে এবার তাঁদের শোকজ করা হয়। তাঁরা উত্তর দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের মাইনে দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করেন তিনি। ‘অভাবের সংসারে ভীষণ বিপদে পড়েছি’, বলেন শিবানীদেবী।
কংগ্রেস নেতা অধীর এই প্রসঙ্গে বলেন, কিছু না জানিয়েই বহরমপুর পুরপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওই দুই শিক্ষিকার মাইনে বন্ধ করা হয়েছে। ওনারা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা করলেও কিছু হয়নি। বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে সবদিকে খেয়াল রাখা সম্ভব নয়। সেই কারণে আমি ওনাকে চিঠি দিয়ে এই অমানবিক কাজের কথা জানিয়েছি। যাতে দুর্গাপুজোর আগে ওই দুই শিক্ষিকার বেতন মিটিয়ে দেওয়া হয়। বিচারের দাবি রাজ্যজুড়ে আন্দোলন চলছে। তার মধ্যে এই দুই শিক্ষিকারও বিচার চাই আমি’।