রক্তদান শিবির নিয়ে হাইকোর্টে মামলা! আদালতের এক নির্দেশে তোলপাড়!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রক্তদান শিবির নিয়ে আইনি জটিলতা। সেই জল গড়িয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চ, এরপর তা যায় ডিভিশন বেঞ্চে। অবশেষে শুক্রবার সেই জট খুলল। রক্তদান শিবিরের আয়োজন নিয়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চ যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাতে কোনও প্রকার হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।

রক্তদান শিবির নিয়ে কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

গত ১৩ জুন শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে সংসদের কাছে রক্তদান শিবিরের (Blood Donation Camp) আর্জি জানানো হয়। সেই সঙ্গেই এই শিবির আয়োজনের জন্য সংসদের কাছে একটি হলঘরও চাওয়া হয়। তবে ৩ দিন পর সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়, বিশেষ কারণের জন্য ওই হলঘর কাউকে দেওয়া যাবে না। এমনকি ১৯ জুলাই থেকে ওই হলঘর বন্ধ রাখা হবে বলেও জানানো হয়।

   

এরপর এই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় শিক্ষক সংগঠন। উচ্চ আদালতে মামলা করা হলে সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়, এই মুহূর্তে ওই হলঘর রেকর্ড রুম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরবর্তীতে তা রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিকে দেওয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ ’১৫ আগস্ট অবধি…’! বিদ্যুতের মাসুল কমানোয় বিরাট উদ্যোগ, CESC-কে চরম হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর!

এদিকে মামলাকারীদের দাবি, ওখানে তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশের প্রস্তুতি কর্মসূচি হয়েছে। ১৫ জুলাই থেকে এমনটা হয়েছে বলে দাবি। তাদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজনে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

দুই পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) আগামী ২৮ জুলাই রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি দেন। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো অবধি ওই শিবির চালানোর অনুমতি দেওয়া হয়।

Calcutta High Court

সেই সঙ্গেই বলা হয়, সর্বোচ্চ ১০০ জনকে নিয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের হলঘরে ওই শিবিরের আয়োজন করতে কোনও বাধা নেই। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গেল বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় সংসদ। তবে সেখানে গিয়েও সুরাহা হল না। সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করল না ডিভিশন বেঞ্চ।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর