বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ছিলেন বাঁকুড়ার মিঠু মণ্ডল। কর্মরত অবস্থাতেই মৃত্যু হয়েছে। তবে ২০২১ সাল থেকে বন্ধ রয়েছে পারিবারিক পেনশন। এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) মামলা হতেই বিরাট নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। অবিলম্বে পেনশন চালু করতে হবে, নির্দেশ তাঁর।
কী রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট?
স্কুল শিক্ষিকা মিঠুদেবীর সঙ্গে সঞ্জয় প্রামাণিকের বিয়ে হয়েছিল। ২০১০ সালে জন্ম হয় তাঁদের ছেলে সৌম্যজিতের। সৌম্যজিৎ ৭০% প্রতিবন্ধী এবং তাঁর দেহের একদিকের মাংস পেশির অসাড়তা রয়েছে। এবার সৌম্যজিৎকেই মায়ের পারিবারিক পেনশন দেওয়ার নির্দেশ দিলেন জাস্টিস সিনহা (Justice Amrita Sinha)।
আদালতের খবর, ২০২১ সাল থেকে মিঠুদেবীর পারিবারিক পেনশন বন্ধ রয়েছে। রাজ্য সরকারের একাধিক জায়গায় এই নিয়ে আবেদন করলেও সুরাহা হয়নি। শেষমেশ সৌম্যজিতের কাকা তারাপদ প্রামাণিক হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এবার ওই মামলাতেই সৌম্যজিৎদের পক্ষে বিরাট রায় দিল আদালত। নাবালক ওই কিশোরের নামে দ্রুত পারিবারিক পেনশন (Family Pension) চালুর নির্দেশ দিল আদালত।
আরও পড়ুনঃ প্রাথমিক দুর্নীতি মামলায় CBI স্ক্যানারে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ! কে সেই ব্যক্তি? তোলপাড় বাংলা!
এদিন তারাপদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম ও গোপা বিশ্বাস আদালতে বলেন, ২০১৩ সালে মৃত্যু হয়েছিল সৌম্যজিতের মা মিঠুদেবীর। এরপর স্বামী সঞ্জয়ের নামে পারিবারিক পেনশন চালু হয়। তবে ২০২১ সালে ফের গাঁটছড়া বাঁধেন সঞ্জয়। এরপর নিয়ম অনুযায়ী নিজের নামে পারিবারিক পেনশন বন্ধ করে তা ছেলের নামে চালু করার আর্জি জানান তিনি।
এরপর জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস থেকে শুরু করে রাজ্য সরকারের নানান জায়গায় একাধিকবার আবেদন করতে কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষ অবধি নাবালক ভাইপোর হয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তারাপদ। এদিকে এই নিয়ে আপত্তি তোলে শিক্ষা দফতর।
ভাইপোর হয়ে তাঁর কাকা পারিবারিক পেনশনের আবেদন করতে পারে না বলে দাবি করা হয়। পাল্টা তারাপদের আইনজীবী ফিরদৌস বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর সৌম্যজিতের বাবা সঞ্জয় নিজেই ছেলের নামে পারিবারিক পেনশন চালু করার কথা বলেছিলেন। তাই মূল আবেদন বাবাই করেছেন। উভয় পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পর বিচারপতির পর্যবেক্ষণ আইন অনুযায়ী ছেলে পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য। সেই কারণে অবিলম্বে তাঁর নামে মায়ের পারিবারিক পেনশন চালু করতে হবে।