বাংলা হান্ট ডেস্কঃ তিলোত্তমার ১৫০ বছরের দীর্ঘ সঙ্গী। সেই ট্রাম (Tram) নিয়ে টালবাহানা অব্যাহত। এরই মধ্যে বড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। মঙ্গলবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি চৈতালি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, আদালতের নিযুক্ত বিশেষ কমিটির রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শহরের কোনও ট্রামলাইন বন্ধ করা যাবে না।
ট্রাম বাঁচাতে কড়াকড়ি হাইকোর্টের-Calcutta High Court
ঐতিহ্যবাহী ট্রাম বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে প্রধান বিচারপতি বলেন, “ট্রামগুলোর যা অবস্থা তাতে তিন কোটি টাকার বেশি লাগবে না। আন্তর্জাতিক মানের করতে সুরক্ষা দিতে এই পরিমাণ টাকাই মাত্র প্রয়োজন।” ট্রাম নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজ্যকে বলেন বিচারপতি।
গত বছর শেষের দিকে গণপরিবহণের মাধ্যম হিসেবে ট্রামের ( Kolkata Tram) চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার ট্রাম সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানাল, ট্রামলাইন অপসারণ বা বন্ধের বিষয়ে রাজ্যকে আরও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কলকাতার ঐতিহ্য রক্ষার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের, বলল হাইকোর্ট। দুই সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিকে খিদিরপুর ট্রামলাইন বন্ধ করার বিষয়ে আদালতের নির্দেশ এই সিদ্ধান্ত কে নিয়েছিল, সেই বিষয়ে তদন্ত করবে কলকাতা পুলিশ। কলকাতা হাইকোর্টে ট্রাম মামলা বিচারাধীন হওয়া সত্ত্বেও নগরীর বুকে বেশ কিছু রুটের ট্রামের ট্র্যাক তুলে ফেলার পাশাপাশি সেই জায়গায় পিচ দিয়ে বুজিয়ে দেওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছিল।
এর আগে ট্রামলাইন বুজিয়ে ফেলার কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। এই সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্যের কাছে বিস্তারিত রিপোর্টও তলব করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্ট পুলিশ, পরিবহণ বিশেষজ্ঞ, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য পরিবহণ নিগম এবং অন্যান্য প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করে দেয়।
আরও পড়ুন: ৫০ কিমি বেগে ধেয়ে আসছে ঝড়! কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে সতর্কতা জারি, আবহাওয়ার মেগা আপডেট
রাজ্যের পরিবহন দপ্তর তরফে আদালতে জানানো হয়, ময়দান থেকে খিদিরপুর পর্যন্ত রুটে পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) মডেলে ট্রাম চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। বেসরকারি সংস্থা আগ্রহী হলে তাদের সাহায্যও নেওয়ার জন্যও রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছিল হাইকোর্ট।