’১৪ দিনের মধ্যে…’! TET-এর প্রশ্ন ভুল মামলায় বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, এক রায়ে তোলপাড়!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরি দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য! এসসসি থেকে প্রাথমিক, প্রায় সকল ক্ষেত্রেই অনিয়মের অভিযোগে আদালতে মামলা চলছে। যে কারণে আটকে রয়েছে নিয়োগ। চলতি বছরই প্রায় ২৬,০০০ চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এবার প্রাথমিক টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় বড় নির্দেশ দিল আদালত।

টেটের প্রশ্ন ভুল মামলায় কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

২০১৭ এবং ২০২২, দুই বছরের টেট (TET) পরীক্ষায় প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ উঠেছিল। সেই জল গড়ায় উচ্চ আদালত অবধি। এর আগে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা ২০১৭ সালের প্রশ্নভুল মামলায় বিশ্বভারতী এবং ২০২২ সালের প্রশ্ন ভুল মামলায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি দিয়ে প্রশ্ন খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপর ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ। এবার তাতেই ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি তৈরির নির্দেশ দিল জাস্টিস হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ।

প্রাথমিক বোর্ডের একজন সদস্য, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রতিনিধিকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি হবে। সেখানে টেট-এর (Primary TET) প্রশ্ন ভুল প্রমাণিত হলে যদি নম্বর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তাহলে প্রচুর পরীক্ষার্থী পাশ করবেন। আগামী ১৪ দিনের মধ্যে ৩ সদস্যের এই বিশেষজ্ঞ কমিটিকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ গাড়ির মালিকদের জন্য বিরাট ঘোষণা! রাজ্য সরকারের এক সিদ্ধান্তে খুশির হাওয়া বাংলায়

২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় প্রায় ১২টি এবং ২০২২ সালের পরীক্ষায় প্রায় ২৪টি প্রশ্ন ভুলের অভিযোগ তুলেছেন মামলাকারীরা (TET Wrong Question Case)। জাস্টিস ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, ৩ সদস্যের বিশেষজ্ঞের কমিটি ওই প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখবেন। এরপরেই এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Calcutta High Court

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের প্রশ্ন ভুল মামলায় বাংলা সহ তিনটি বিষয়ের একাধিক প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। মামলাকারীদের দাবি ছিল, যদি প্রশ্ন ভুলই থাকে, তাহলে যে সকল পরীক্ষার্থী ওই প্রশ্নগুলির উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁদের নম্বর দেওয়া হোক। হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে গঠিত বিশেষজ্ঞের কমিটি কী নির্দেশ দেয় সেটাই এবার দেখার।


Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

সম্পর্কিত খবর