বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘আদালত চাইলে দুপুরের মধ্যে সিডি আনতে পারে’! মঙ্গলবার বেআইনি গ্রেফতারির একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। একইসঙ্গে বোর্ডগঠন, প্রধান নির্বাচনের সিডি এবং কেস ডায়েরি সহ তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।
বেআইনি গ্রেফতারির মামলায় কী বলল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?
পূর্ব মেদিনীপুরের শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদপ্রার্থীকে অবৈধ গ্রেফতারির অভিযোগ উঠেছিল। ২৩ আসল বিশিষ্ট এই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১১টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বাকি ১২টি আসনে জয়লাভ করেন বিরোধী সিপিআইএম। তবে বোর্ড গঠনের আগের রাতেই বাঁধে বিপত্তি! সিপিআইএম সহ অন্যান্য দলের প্রধান পদপ্রার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। ফলে পঞ্চায়েত প্রধান হন তৃণমূলের (Trinamool Congress) এক জয়ী প্রার্থী।
- হাইকোর্টের দ্বারস্থ সিপিআইএম
শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদ ওবিসিদের জন্য সংরক্ষিত। এই পদের জন্য সিপিআইএমের তরফ থেকে দাঁড় করানো হয়েছিল আব্দুল জব্বারকে। তবে বোর্ড গঠনের আগের রাতে পুরনো একটি মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাঁকে ছেড়ে দিলেও ততক্ষণে তৃণমূলের এক সদস প্রধান হয়ে গিয়েছেন। এরপর হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় সিপিআইএম নেতৃত্ব।
আরও পড়ুনঃ ‘আমরা পারলাম, করে দেখালাম’! ধর্ষণ-খুনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড, বিধানসভায় পেশ হল অপরাজিতা বিল
তাঁদের অভিযোগ, পুরনো ওই মামলায় সিপিআইএমের প্রধান পদপ্রার্থীকে গ্রেফতারির দরকার ছিল না। জব্বার যাতে পঞ্চায়েত প্রধান না হতে পারেন, সেই কারণে শাসল দল এই কাজ করিয়েছে বলে অভিযোগ। বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। তিনি নতুন করে পঞ্চায়েত (Sitalpur Gram Panchayat) ভোট করার নির্দেশ। জাস্টিস সিনহার এই রায়ের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের ১১ জন পঞ্চায়েত সদস্য।
এদিন সেই মামলার শুনানিতেই বোর্ডগঠন এবং প্রধান নির্বাচনের সিডি এবং কেস ডায়েরি সহ তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিল হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি গৌরাঙ্গ কাণ্ড এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী বুধবার তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের তরফ থেকে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হলে জাস্টিস বাগচি বলেন, ‘আদালত চাইলে দুপুরের মধ্যে সিডি আনাতে পারে’।
এই মামলা প্রসঙ্গে সিপিআইএম (CPIM) সদস্যদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, আব্দুল জব্বারকে গ্রেফতার করার কোনও দরকার ছিল না। শুধুমাত্র শাসক দলের সদস্যকে পঞ্চায়েত প্রধান করার জন্যই তাঁকে অবৈধভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি করেন ফিরদৌস। আগামী বুধবার বোর্ডগঠন এবং প্রধান নির্বাচনের সিডি এবং কেস ডায়েরি সহ তদন্তকারী অফিসারকে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের জাস্টিস গৌরাঙ্গ কান্ত এবং জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।