বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিন কয়েক আগেই নিউ টাউনের এক রেস্তোরাঁর মালিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল অভিনেতা তথা চণ্ডীপুরের TMC বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham Chakraborty) বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই সেই জল গড়িয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) অবধি। এবার এই মামলাতেই বিরাট রায় দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
গত সপ্তাহে শুক্রবার এই ঘটনাটি ঘটেছিল। সেই ঘটনা ঘটার পর পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা ও লাগাতার হুমকি পাওয়ার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন রেস্তোরাঁর মালিক (New Twon Restaurant Owner) আনিসুল আলম। শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল হাই কোর্টে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha) নির্দেশ দেন, এই ঘটনার তদন্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দা বিভাগই করবে।
জাস্টিস সিনহার নির্দেশ, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ (এসিপি)-এর নেতৃত্বে গোয়েন্দা বিভাগ (ডিডি) এই মামলার তদন্ত করবে। তদন্ত কতদূর এগোল সেটা আদালতকে জানাতে হবে। পুলিশকে এই মামলার সঙ্গে সম্বন্ধিত তথ্যপ্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। সেই সঙ্গেই মামলাকারী তথা রেস্তোরাঁর মালিকের দিকটিও সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব পুলিশকে দিয়েছেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৪ জুলাই।
আরও পড়ুনঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নয়া মোড়! CID-র হাতে গ্রেফতার ২, তোলপাড় রাজ্য!
এদিন শুনানি চলাকালীন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম আহমেদ সওয়াল করে বলেন, সম্পূর্ণ ঘটনার ফুটেজ CCTV-তে ধরা পড়েছে। এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ ঠিক করে তদন্ত করছে না। মামলাকারীর তরফ থেকে CID-র কোনও উচ্চ পদাধিকারী অফিসারকে দিয়ে আদালতের তদন্ত করার নির্দেশ দিল আদালত।
অন্যদিকে রাজ্যের তরফ থেকে এই প্রেক্ষিতে জানানো হয়, থানা থেকে এই মামলা সরিয়ে বিধাননগরের গোয়েন্দা বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর নেতৃত্ব দেবেন এসিপি পরমর্যাদার একজন পুলিস। রাজ্যের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দুই পক্ষকেই থানায় গিয়ে অভিযোগ জানাতে বলা হয়। তবে সেই সময় শ্যুটিং চলছিল সোহমের। তবে রেস্তোরাঁর মালিক প্রথমে অভিযোগ দায়েরের পথে না হেঁটে মীমাংসা করতে চান। সেই অনুযায়ী সমঝোতা করা হয়।
এরপরের দিন দেখা যায়, সমাজমাধ্যমের পাতায় ওই দিনের ঘটনার ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। এরপরেই রেস্তোরাঁর কর্ণধার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ওই দিনই পাল্টা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সোহমও। অন্যদিকে ঘটনার দু’দিন পরে মেডিক্যাল করানো হয় আক্রান্তের। কেন দু’দিন দেরি করা হল? সেই প্রশ্নও আদালতে তোলা হয়। সব কিছু শোনার পর আদালতের তরফ থেকে গোয়েন্দা বিভাগের হাতেই তদন্তভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।