বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভা ভোটের মাঝেই (Lok Sabha Election 2024) ২০১৬ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক নজিরবিহীন রায় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করেছে বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ। যে কারণে চাকরিহারা হয়েছেন ২৫,৭৫৩ জন। হাই কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই আবার প্রশাসনিক মহলে একটি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। শিক্ষকরা যেহেতু ভোটকর্মী হিসেবে কাজ করেন, তাই নির্বাচনের মাঝে এতজনের চাকরি গেলে এর প্রভাব ভোটে পড়বে না তো? এবার এই বিষয়ে আশ্বস্ত করল মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।
গত ১৯ এপ্রিল থেকে রাজ্যে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং আলিপুরদুয়ারে প্রথম দফার ভোট হয়েছে। এখনও বাকি ছয় দফার নির্বাচন। তার আগেই এতজনের চাকরি যাওয়ায় এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বে কিনা সেই প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরের তরফ থেকে এই বিষয়ে আশ্বস্ত করে বলা হয়েছে, কমিশনের (Election Commission) হাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক ভোটকর্মী রয়েছে। তাই আদালতের রায়ের কারণে সেভাবে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।
কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের ফলে প্রায় ২৬,০০০ জনের চাকরি গেলেও এর প্রভাব লোকসভা ভোটের ওপর পড়বে না বলেই জানিয়েছে কমিশন। সেই সঙ্গেই বলা হয়েছে, সোমবারই যেহেতু এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) আদালতের তরফ থেকে রায় দেওয়া হয়েছে তাই এই বিষয়টি নিয়ে পরবর্তীতে বিশদে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুনঃ পার্থ, কুন্তল অতীত! এবার TMC-র কোন কোন নেতারা জেলে ঢুকবে? জানালেন শুভেন্দু
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অরিন্দম নিয়োগ বলেন, রাজ্যে যে ভোটকর্মীরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছেন। প্রত্যেক দফার জন্য ২০%-২৫% সংরক্ষিত ভোটকর্মী থাকে। পশ্চিমবঙ্গে মোট বুথের সংখ্যা আশি হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে প্রথম দফার ভোটগ্রহণ। তাই হাই কোর্টের রায়ে প্রায় ২৬,০০০ সরকারি কর্মীর চাকরি গেলেও কমিশনের হাতে পর্যাপ্ত ভোটকর্মী রয়েছে।
গতকাল জানানো হয়েছে, দ্বিতীয় পর্বের ভোটগ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই ডিসিআরসিতে পৌঁছে গিয়েছেন তাঁরা। পরবর্তীকালে যদি ভোটকর্মীর অভাব দেখা দেয়, তাহলে সেক্ষেত্রে রিজার্ভ থেকে নেওয়া হতে পারে। সব মিলিয়ে, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি গেলেও নির্বাচনে তার কোনও প্রভাব পড়বে না।