শিক্ষকদের বদলি নিয়ে পর্ষদকে কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের! জাস্টিস সিনহার এক রায়ে তোলপাড়!

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একাধিক মামলা চলছে। ২০১৬ সালের সম্পূর্ণ প্যানেলের চাকরি ঝুলে রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এর মাঝেই এবার শিক্ষক বদলি নিয়ে পর্ষদকে কড়া নির্দেশ দিল উচ্চ আদালত।

কী নির্দেশ দিল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)?

এই মুহূর্তে ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল বন্ধ থাকার কারণে অফলাইনে বদলির আবেদন জানাতে হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই হাইকোর্টের তরফ থেকে এই বিষয়টিকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। তবে আবেদন করলেই তো শুধু হল না, আর্জি জানানোর কতদিন পর ওই আবেদনকারীকে ডাকা হবে? কতদিনের মধ্যে তাঁর বদলি হবে? এবার এসব জানতে চাইল আদালত।

   

অফলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলির আবেদনে বৈধতা দেওয়ার পর থেকেই কতদিনের মধ্যে তাঁদের ডাক আসবে? বদলিও বা কতদিনে হবে? এই সংক্রান্ত নানান প্রশ্ন উঠছিল। এবার এক শিক্ষিকার আপোষ বদলির মামলায় পর্ষদের কাছ থেকে এই বিষয়ে কী গাইডলাইন রয়েছে, সময়সীমাও বা কতদিনের সেটা জানতে চাইলেন হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)।

আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের নেতৃত্বে ‘দাদাগিরি’? জুনপুটে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ বন্ধ করল DRDO, তুঙ্গে শোরগোল!

জাস্টিস সিনহার নির্দেশ, একজন শিক্ষক কিংবা শিক্ষিকা বদলির আর্জি জানানোর পর কতদিনের মধ্যে তাঁকে সিদ্ধান্ত জানানো হয়? এবার গাইডলাইন সহ পর্ষদকে সেই বিষয়ে জানাতে হবে। মামলাকারীর আইনজীবী সুদীপ ঘোষ চৌধুরী এই প্রসঙ্গে বলেন, পুতুল সিট নামে পুরুলিয়ার একজন শিক্ষিকা ২ জুলাই পর্ষদের কাছে আপোষ বদলির আর্জি জানান। তবে এখনও অবধি পজিটিভ অথবা নেগেটিভ কিছুই তাঁকে জানানো হয়নি। শেষ অবধি হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন তিনি।

Calcutta High Court

এই বিষয়ে আদালতে পর্ষদের দাবি, বিবেচনা করার জন্য যথাযথ সময় দেওয়া হয়নি। পর্ষদকে সেই সময় দেওয়া হোক। তারা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারবে। বিবেচনা করার জন্য পর্ষদের নির্দিষ্ট কোনও ‘সময়সীমা’ নেই। এদিকে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, বিচারপতি রাজশেখর মান্থা এতদিন প্রাথমিকের মামলাগুলি শুনছিলেন। তিনিই ‘উৎসশ্রী’ পোর্টাল বন্ধ থাকায় অফলাইনে আবেদনে বৈধতা দেন। এবার বদলির বিষয়ে পর্ষদের কী গাইডলাইন রয়েছে, সময়সীমা কতদিনের সেটা জানানোর নির্দেশ দিলেন জাস্টিস অমৃতা সিনহা।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর