বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মৃত্যুর প্রায় ২৩ বছর পর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। বিগত কয়েক বছরে রেল দুর্ঘটনার কারণে একাধিকবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। প্রত্যেকবারই মৃতের পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণ তুলে দিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু ভীড়ে ঠাসা লোকাল ট্রেন নিয়ে নিত্য যাত্রীদের অভিযোগ বহুদিনের।
রেলকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
ভীড়ের চাপ সামলাতে না পেরে কোনো বড়সড় দুর্ঘটনা এমনকি ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে। তবে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন এমন উদাহরণ খুব কমই দেখা যায়। তবে এবার এমনটাই ঘটতে চলেছে আদালতের নির্দেশে। দীর্ঘ দু’দশক কেটে যাওয়ার পর অবশেষে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের বেঞ্চ মৃতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৮ লক্ষ টাকা দেওয়ার পাশাপাশি ৬ শতাংশ হারে ১১ বছরের জন্য সুদের টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। বলা হয়েছে, আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যেই হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলর কাছে সুদ সমেত ওই ক্ষতিপূরণের টাকা জমা দিতে হবে।
সালটা ছিল ২০০১, সেবছরের ১৭ জুন বীরশিবপুর স্টেশন থেকে রামরাজাতলা যাওয়ার পথে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। আশংকাজনক অবস্থায় দ্রুত তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো যায়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন: ফের জামিন! দু’জন পেলেন শর্তসাপেক্ষ মুক্তি, কোন মামলায়?
পরে রেলের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন ওই ব্যক্তির স্ত্রী। ট্রেনে অত্যাধিক ভিড় এবং রেলের ঝাঁকুনির কারণেই চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। মৃতের স্ত্রীর দাবি ছিল তাঁর স্বামী ট্রেন যাওয়ার সময়ে মারা গিয়েছেন। তাই রেল দুর্ঘটনার মতো এক্ষেত্রেও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এছাড়াও ওই মহিলার দাবি ছিল তাঁর তিন সন্তান। মৃত্যুকালে তাঁর স্বামীর বয়স ছিল ৭০ বছর। সেই সময়ে মাসে সাড়ে তিন হাজার টাকা রোজগার করতেন। তখন তিনি সেই হারেই ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। অবশেষে ২৩ বছর পর অপেক্ষার ফল পেতে চলেছেন তাঁরা।