বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর সময় নষ্ট করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে যত দ্রুত সম্ভব মেধাতালিকা প্রকাশ করতে হবে। এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পালকে এমনই কড়া নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। শুক্রবার বিচারপতি রাজশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ একটি নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বড় নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)
অন্যদিকে মেধা তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সাথে যে ৪১ জন পরীক্ষার্থীর নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হয়েছিল শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে তাদেরও ওই মেধা তালিকায় রাখতে হবে বলেই জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট (Calcutta High Court)। আর এক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার্থীদের ডি এল এড ডিগ্রীকেই প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালত (Calcutta High Court) সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী ২০১৩ সালে প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরীক্ষার ৪১ জন পরীক্ষার্থীর ডিগ্রি নিয়ে তৈরি হয়েছিল জটিলতা। কারণ তাদের কাছে বিএড এবং ডি এল এড উভয় ডিগ্রীই ছিল। আর ওই কারণেই তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থেকে সটান বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল ওই পরীক্ষার্থীদের কাছে বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রিই রয়েছে।
এক্ষেত্রে পর্ষদের দাবি ছিল যেহেতু তাদের কাছে বিএড ডিগ্রী রয়েছে তাই এক্ষেত্রে তাদের ডি এল এড ডিগ্রিটি প্রাধান্য পাবে না। কিন্তু পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেই ওই ৪১ জন চাকরিপ্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তার আগে সিঙ্গেল বেঞ্চে ওই পরীক্ষার্থীদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে নিয়োগের নির্দেশ জারি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: হেনস্থা আর আত্মহত্যায় প্ররোচনা এক নয়! গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের
যদিও ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টে যায় পর্ষদ। সেখানেও ওই সিঙ্গেল বেঞ্চের রায় বহাল থাকে। পরবর্তীতে অন্য একটি আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে ৪১ জন পরীক্ষার্থীও কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। এতদিন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় পর্ষদ সভাপতিকে ব্যক্তিগত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন জাস্টিস মান্থার ডিভিশন বেঞ্চ।
এরপর শুক্রবার পর্ষদ সভাপতি আদালতে জানান সুপ্রিম কোর্টে অন্য একটি মামলায় মেধা তালিকা প্রকাশের নির্দেশ রয়েছে। তাই এই ৪১ জনের তালিকা আলাদা ভাবে প্রকাশ করলে সে ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরী হতে পারে। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই ডিভিশন বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে দ্রুত মেধাতালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়। আর সেখানে ৪১ জন পরীক্ষার্থীর নাম রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।