বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দিঘায় (Digha) এবার পর্যটকদের মূল আকর্ষণ হতে চলেছে জগন্নাথ মন্দির। সব ঠিক থাকলে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জগন্নাথধামের উদ্বোধন করবেন বলে জানা গিয়েছে। এই আবহে এবার দিঘার আইনশৃঙ্খলা এবং নজরদারির জন্য পৃথকভাবে উচ্চ পদমর্যাদার এক অফিসারকে রাখতে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এক যুবতীর করা মামলার প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
কী বলল হাইকোর্ট? Calcutta High Court
অভিযোগ ছিল, দিঘায় হোটেলগুলিতে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ চলে। বাড়তি টাকা রোজগারের আশায় পর্যটকদের নথি ঠিকমতো যাচাই না করে হোটেল ভাড়া দেওয়ার মত অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে সেখানে নজরদারি বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। সেই মামলাতেই এবার উচ্চ পদমর্যাদার এক অফিসারকে রাখার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ।
বাঁশদ্রোণী এলাকার এক যুবতীর অভিযোগ ছিল, গত বছর বিহারের বেগুসরাইয়ের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। সম্পর্কে ঘনিষ্ঠতা আসলে সেপ্টেম্বর মাসে তাকে দিঘা বেড়াতে নিয়ে যায় যুবক। সেখানে গিয়ে তাকে মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এক হোটেল রুমে তিন যুবকের সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা হয়।
ভয়ে তাদের কথা শুনতে বাধ্য হন যুবতী। শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি তার অশ্লীল ফটো এবং ভিডিয়ো তুলে রাখা হয়। তারপর সেইসব ছবি-ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা দু’দিন ধরে ওই যুবকরা তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। এরপরই ওই যুবকের বিরুদ্ধে বাঁশদ্রোণী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। তবে অভিযোগের ভিত্তিতে বাঁশদ্রোণী থানা ‘জিরো’ এফআইআর দায়ের করে তা দিঘা থানায় পাঠিয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: বন্ধ ইন্টারনেট! থমথমে মোথাবাড়িতে ঢোকার আগেই বাধা, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে বিস্ফোরক সুকান্ত
অভিযোগ, দিঘা থানার পুলিশ তদন্তে ঢিলেমি করেছে। এরই মধ্যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে অভিযুক্ত যুবক। এরপরই সুবিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই তরুণী। সেই মামলাতেই অভিযুক্তকে দেশে ফেরাতে দ্রুত বিদেশ মন্ত্রক এবং পাসপোর্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। অভিযোগের ভিত্তিতে দিঘা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। যে কোনো ধরণের অপরাধ দমনে উচ্চ পদমর্যাদার এক অফিসারকে নিয়োগের নির্দেশ হাইকোর্টের।