নিয়োগ দুর্নীতির মাঝেই শিক্ষকদের নিয়ে বড় রায় হাইকোর্টের! হুলস্থূল গোটা রাজ্যে

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার থেকে রাজ্যের (West Bengal) সমস্ত স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (Teachers) যোগ্যতা  (Qualification) কি তা জানতে পারবেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এবার এমনই বড়সড়ো নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে হাতে মাত্র দু সপ্তাহ সময় তার মধ্যেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য সরকারি পোর্টালে আপলোড করতে হবে।

‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে এই সমস্ত নথি আপলোড করার পর সেখান থেকে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারবেন। এই মামলার সম্পর্কে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এদিন মন্তব্য করেছেন স্কুলের শিক্ষক যে যে বিষয়ে পড়াচ্ছেন সেই বিষয়ে তার যোগ্যতা কি সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকদের জানা উচিত।

কিন্ত হটাৎ কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? আসলে শিকক নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই অভিযোগ উঠছে, বহু শিক্ষক শিক্ষিকার স্কুলে পড়ানোর যোগ্যতা নেই অথচ তারা স্কুলে পড়াচ্ছেন। তাই রাজ্যের প্রত্যেক সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকার যোগ্যতা কি তা এবার থেকে সরাসরি  সরকারি পোর্টালে  আপলোড করতে হবে।

আরও পড়ুন: কলকাতায় এসেই সোজা নবান্ন! মুখ্যমন্ত্রীর সাথে ৪০ মিনিটের বৈঠক, কে এলেন? তুঙ্গে জল্পনা

যদিও এদিন রাজ্যের আইনজীবী বিশ্বব্রত বসু মল্লিক হুগলি, বীরভূম ও নদীয়া জেলার রিপোর্ট তুলে দিয়ে আর্জি জানিয়েছিলেন গোটা রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের তথ্য জোগাড় করতে আরো দু মাস সময় লাগবে। কিন্তু বিচারপতি এই সময় দিতে আর রাজি হননি।

Calcutta High Court

উল্টে বিচারপতি বসু ভর্ৎসনা করে বলেছেন, ‘রাজ্য সমস্ত ব্যাপারে এত শ্লো কেন?’ সেইসাথে এদিন বিচারপতির নির্দেশ,বিচারপতি নির্দেশ,’আরও দ্রুত কাজ করতে হবে। বহু শিক্ষক চার-পাঁচ বছর ধরে চাকরি করছেন, কিন্তু কোনও রকম নিয়োগপত্র নেই। তাই আর দেরি করা যাবে না। কারা স্কুলে চাকরি করছে সেটা সবার জানার দরকার।’


Anita Dutta
Anita Dutta

অনিতা দত্ত, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৪ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতা পেশার সাথে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর