বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সদ্য নজিরবিহীন এক রায় দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। সর্ষের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভূত খুঁজতে না পেরে কার্যত গোটা সর্ষে ফেলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে! ২০১৬ সালের এসএসসি পরীক্ষার গোটা প্যানেল বাতিল করেছে আদালত। যে কারণে চাকরিহারা হয়ে পড়েছেন প্রায় ২৬,০০০ মানুষ। সেই রায়ের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার (2017 TET Exam) প্রশ্নপত্র ভুল মামলায় বিরাট নির্দেশ দিল হাই কোর্ট।
২০১৭ সালের প্রাথমিক টেট (TET) মামলায় মোট ২১টি প্রশ্ন ভুল থাকার অভিযোগ উঠেছিল। সেই প্রেক্ষিতে মামলা করেন কয়েকজন পরীক্ষার্থী। প্রশ্ন ভুল থাকলে যে সকল পরীক্ষার্থী সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, তাঁদের প্রাপ্য নম্বর দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা। বুধবার হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থার (Justice Rajasekhar Mantha) এজলাসে মামলাটির শুনানি ছিল। এবার এই মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিল আদালত।
এদিন বিচারপতি বিশ্বভারতীর (Visva Bharati University) উপাচার্যকে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। বলা হয়, উপাচার্য নিজের পছন্দ মতো কমিটি তৈরি করতে পারবে। সেই কমিটি ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার বিতর্কিত প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখবে। প্রথমে এই বিশেষজ্ঞ কমিটি সকল প্রশ্ন খতিয়ে দেখবে। এরপর সঠিক উত্তর চিহ্নিত করবে। পরীক্ষার্থীদের উত্তরও খতিয়ে দেখতে হবে তাঁদের। এরপর সব কিছুর ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, তা নির্ধারণ করবে এই কমিটি।
আরও পড়ুনঃ ভেঙে চুরমার জোট! পুরুলিয়ায় ৪৭ বছরের পুরনো সঙ্গীকেই ভোট না দেওয়ার আবেদন সিপিএমের
এক মাসের মধ্যে একটি রিপোর্ট তৈরি করে মতামত জানাতে হবে কমিটিকে। আগামী ১১ জুন মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেদিন আদালত কমিটির দেওয়া রিপোর্ট দেখার পর এই মামলার পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
এই প্রসঙ্গে মামলাকারীদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, ২০১৭ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষায় যে প্রশ্ন ভুল ছিল এটা নিশ্চিত। তবে সেই প্রশ্নের ভিত্তিতে কীভাবে পরীক্ষার্থীদের নম্বর দেওয়া হবে সেটাই বিচার্য বিষয়। আদালতের তরফ থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটিকে ভুল প্রশ্নগুলি খতিয়ে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতীর কমিটি কী রিপোর্ট দেয় সেদিকেই এখন তাকিয়ে সকলে।