এও সম্ভব? বিস্মিত খোদ বিচারপতি! জনস্বার্থ মামলায় রাজ্যকে বড় নির্দেশ হাইকোর্টের

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রয়েছে মানুষের চিকিৎসার লাইসেন্স। এদিকে সেই লাইসেন্সে চলছে পশু ক্লিনিক! এমনই গুরুতর অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court)। উচ্চ আদালতে এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। অভিযোগের ভিত্তিতে রাজ্যের (Government of West Bengal) কাছে রিপোর্ট তলব করেছে হাইকোর্ট। আগামী ১৬ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগেই রিপোর্ট দিতে হবে রাজ্যকে।

খাস কলকাতায় একটি ক্লিনিকের ভুল চিকিৎসায় সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তির পোষ্য বিড়ালের মৃত্যু হয়। এরপরই গুরুতর অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তার অভিযোগ, রাজ্যজুড়ে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সমস্ত বেসরকারি পশু ক্লিনিক ও হাসপাতাল। এই নিয়েই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন তিনি।

মামলাকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, পশু ক্লিনিক চলতে গেলে নির্দিষ্ট নিয়মে লাইসেন্স প্রয়োজন। এই ধরনের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের আইন রয়েছে। কিন্তু সেই আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করা হয়নি। যার কারণে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে সমস্ত বেসরকারি ক্লিনিক। যে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদেরকেও মামলা পক্ষভুক্ত করা হয়। এরপরই গোটা বিষয়ে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করে হাইকোর্ট। আগেও এই বেসরকারি ক্লিনিকগুলিকে আইনের আওতায় আনা যায় তা নিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল।

Calcutta High Court

আরও পড়ুন: শীঘ্রই ‘বাংলার বাড়ি’র টাকা পাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ গরিব মানুষ! তাদের সুবিধার কথা জানাল তৃণমূল

এদিকে পাল্টা অভিযুক্ত ক্লিনিক আদালতে দাবি করে, তাদের বৈধ লাইসেন্স রয়েছে। খোদ রাজ্য সরকার ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এ তাদের লাইসেন্স দিয়েছে। সেই মতোই ক্লিনিক চলছে। এখানে উল্লেখ্য বিষয়, এই ‘ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট’-এর আইনে মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল তৈরির লাইসেন্স দেওয়া হয়। এই কথা শুনেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। রাজ্যকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এরপরই রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করে হাইকোর্ট।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর