বাংলা হান্ট ডেস্কঃ অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীরের (TMC MLA Humayun Kabir) বিরুদ্ধে। একের পর এক ফাঁকা জমি দখলের চেষ্টা করার অভিযোগে দায়ের হয়েছিল মামলা। সেই মামলায় এবার পুলিশের রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বৃহস্পতিবার পুলিশকে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
অভিযোগ ছিল হাওড়ায় নিজের রেস্তোরা লাগোয়া পরপর ফাঁকা জমি দখলের চেষ্টার করছেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে নিজের রেস্তরাঁর আশপাশের একাধিক বাসিন্দার ব্যক্তিগত জমি দখল করছেন তিনি। কোথাও পাঁচিল দেওয়ার জন্য মাটি খোঁড়া হয়েছে, কোথাও কলম তোলার কাজ শুরু হয়েছে।
তবে এই অপরাধের বিরুদ্ধে বারংবার পুলিশে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও কোনো সুরাহা হয়নি। আগে টিএমসি বিধায়কের বিরুদ্ধে চ্যাটার্জি হাট থানা কাছে এই নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছিল। তবে পুলিশের তরফে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরপরই নিজেদের জমি রক্ষা করতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৭৩ বছরের বৃদ্ধা রেখা দাস ও তারকনাথ জয়সওয়াল নামে দুই বাসিন্দা। হাইকোর্টে দুটি পৃথক মামলা করেন তারা। আগে এই মামলাটি শুনছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
এর আগেও পুলিশ তরফে দাবি করা হয়েছিল, দুটি অভিযোগের তদন্ত করা হয়েছে। তবে অভিযোগ অসত্য। ওদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, নিজেদের জমি দখলে বাধা দেওয়ায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নিতে বাড়িতে গিয়ে একদল দুষ্কৃতী হুমকি দিয়ে এসেছে! যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটছে তাদের।
এদিন বিচারপতি সিনহার এজলাসে মামলা উঠলে পুলিশ রিপোর্ট দিয়ে জানায়, অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তবে যে জমিতে দখলদারির কথা বলা হচ্ছে তা চিহ্নিত করতে সমর্থ হয়নি। যদিও পুলিশের এই রিপোর্ট মানতে নারাজ বিচারপতি সিনহা।
আরও পড়ুন: সপ্তাহভর ঝেঁপে বৃষ্টির পূর্বাভাস কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে, কমবে তাপমাত্রাও: আবহাওয়ার খবর
এদিন বিচারপতি বলেন, তদন্ত মোটেও ঠিকভাবে হয়নি। যদি জমি চিহ্নিত না করা যায় তাহলে কীভাবে এমন রিপোর্ট পেশ করল পুলিশ? আবার তদন্ত হবে। বিচারপতির সাফ নির্দেশ, প্রথমে স্থানীয় বিএলএলআরওকে দিয়ে ওই জমি চিহ্নিত করিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করবে পুলিশ। পাশাপাশি মামলাকারীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতেও পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।