বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সৌমেন্দু অধিকারীর (Soumendu Adhikari) বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা দুর্নীতির মামলায় এবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) জেলা শাসককে রিপোর্ট পেশ করা নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) অর্থাৎ কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজে দুর্নীতি মামলার বিষয়টি এবার থেকে দেখবেন ওই জেলা শাসকই। আগামী ৪ ঠা নভেম্বর আদালতে পরবর্তী শুনানি রয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, তার আগে পর্যন্ত সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান পদে নিযুক্ত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌমেন্দু অধিকারী। এই সময় কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের প্রেসিডেন্ট পদেও দায়িত্ব সামলান তিনি। উক্ত সময় কলেজের লাইব্রেরি থেকে শুরু করে হোস্টেল বিল্ডিং সহ মোট ৬ টি বেআইনি বিল্ডিংয়ের অনুমোদন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। এক্ষেত্রে কোনো রকম টেন্ডার ছাড়া কিভাবে অনুমোদন দেন তিনি, তা ঘিরে ইতিমধ্যে একের পর এক প্রশ্ন চিহ্ন দেখা দিয়েছে।
বেআইনি বিল্ডিং নির্মাণের ক্ষেত্রে মোট ২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে সম্প্রতি সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন আবু সোহেল নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। যদিও এরপরই সেই এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে উপস্থিত হন তৃণমূল নেতা। সেই আবেদনের ভিত্তিতেই বর্তমানে পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসককে তদন্তের দায়ভার দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এক্ষেত্রে দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গে সকল তথ্য সহ রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১১ই নভেম্বর আদালতের পরবর্তী শুনানির আগে সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না, যা শুভেন্দু অধিকারীর ভাইকে সাময়িক স্বস্তি দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, গত বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপরই তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্য তথা শিশির অধিকারী এবং সৌমেন্দু অধিকারীর দলত্যাগ নিয়েও একের পর এক জল্পনার সৃষ্টি হতে থাকে। যেসকল কারণে ইতিমধ্যেই তাদের প্রতি রুষ্ট শাসক দল। অতীতে শিশির ও সৌমেন্দুদের বিরুদ্ধে সারদা মামলায় জড়িত হওয়ার অভিযোগ সামনে এসেছে আর সেই সঙ্গে আগামী নভেম্বরে কাঁথি প্রভাত কুমার কলেজের দুর্নীতি মামলায় আদালতের পরবর্তী রায় কি হয়, আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে সৌমেন্দু।